বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে রুশ হামলার পর বুধবার (২ মার্চ) সপ্তম দিনের মতো যুদ্ধ চলছে। শান্তি আলোচনায় বসেও যুদ্ধ থামেনি।
আবার ইউক্রেন-রাশিয়ার আলোচনায় বসতে চেয়েছে। এরই মধ্যে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ দখলে নিয়েছে রুশ সেনাবাহিনী।
ইউক্রেনে চলমান অভিযান বিজয়ের মাধ্যমে ২ মার্চের (আজ বুধবারের) মধ্যে শেষ করতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নির্দেশ দিয়েছেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সাবেক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই ফেদোরভ আল-জাজিরায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন কথা জানিয়েছিলেন।
আজ ২ মার্চে এসেও দেখা যাচ্ছে, রুশ বাহিনী হামলা অব্যাহত রেখেছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, ইউক্রেন যুদ্ধ কবে থাকাবে রাশিয়া?
এ বিষয়ে বিবিসি অনলাইনে একটি বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন নিরাপত্তা প্রতিবেদক ফ্রাঙ্ক গার্ডনা। তার মতে, ইউক্রেনকে পশ্চিমাদের দখলে ছেড়ে দেওয়ার চেয়ে ‘ধ্বংস করতে চান’ ভ্লাদিমির পুতিন।
বিবিসির এই প্রতিবেদক বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে ভয়ংকর অনেক অস্ত্র ব্যবহার করেনি রুশ বাহিনী। কিন্তু আক্রমণের ‘দ্বিতীয় পর্বে’ সেগুলোর ব্যবহারের ‘দ্বার খুলে যেতে পারে’।
তিনি মনে করেন, এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমাদের জন্য ‘কঠিন ভারসাম্য রক্ষার কাজটি হবে’ যুদ্ধ থেকে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে সরানোর জন্য কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা। তাকে আরও ভয়ংকর কিছু করার জন্য সুযোগ দেওয়া মোটেও ঠিক হবে না।
ফ্রাঙ্ক গার্ডনা বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে, নিজের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। কেউ তার সঙ্গে কথা বলছেন না। ’
আন্দ্রেই ফেদোরভ আল-জাজিরাকে বলেন, মস্কো তার প্রতিবেশীর ওপর পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার কারণে তিনি দুই দেশের মধ্যে আলোচনার বিষয়ে আশাবাদী। পূর্বশর্ত ছাড়াই আলোচনা হওয়া উচিত।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকে রুশ বাহিনী দেশটির একের পর এক শহরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বুধবার সপ্তম দিনের মতো যুদ্ধ চলছে।
যুদ্ধে ইউক্রেনে এখন পর্যন্ত ১৩৬ জন নিহত হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘ। যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনে ইউক্রেন থেক অন্তত ৬ লাখ ৬০ হাজার মানুষ পাশের দেশগুলোতে পালিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা।