সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন
কুলাউড়া প্রতিনিধি : কুলাউড়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালকদের দৌরাত্ম। উঠতি বয়সী তরুণদের মোটরসাইকেলের দৌরাত্ম ও উচ্চ শব্দ ব্যবহার করে বেপরোয়া গতিতে ট্রাফিক আইন অমান্য করে উপজেলায় দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা। ফলে প্রায়সময় একের পর এক ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছেই।
ট্রাফিক পুলিশ বলছে, দলীয় বড় ভাইদের নাম বিক্রি করে তারা অনেকটা বেপরোয়া। তাই তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
জানা গেছে, কুলাউড়া শহর ও শহরের বাহিরে প্রতিদিন উঠতি বয়সের ছেলেরা বেপরোয়া গতিতে বিভিন্ন মডেলের মোটরসাইকেল চালিয়ে থাকেন। এদের বেশিরভাগই ১৩-১৫ বছর থেকে শুরু করে ১৭-১৮ বছর বয়সী। শহর ও শহরের বাহিরে ওই সব চালকরা যেকোনো রাস্তায় মোটরসাইকেল বেপরোয়া গতিতে ও প্রচণ্ড শব্দ করে চালিয়ে বেড়ায়।
এদিকে, অধিকাংশের মোটরবাইকের নেই রেজিস্ট্রেশন। আবার কারও কারও নেই ড্রাইভিং লাইসেন্সও। পুলিশ বলছে, তাদের আটক করলে বিভিন্ন দলের নেতাসহ বিভিন্নজনের তদবিরের কারণে মামলা ছাড়া ছেড়ে দিতে হয়।
জানা যায়, কুলাউড়া-মৌলভীবাজার রোড, কুলাউড়া-জুড়ী রোড, কুলাউড়া-রবিরবাজার রোডে প্রতিদিন বিকেল হলেই উঠতি বয়সী এ সকল তরুণরা বেপরোয়া ভাবে মোটরসাইকেল চালায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামাঞ্চলের লোকজন।
সচেতনরা বলছেন, এসব অপ্রাপ্ত বয়স্ক তরুণরা এমন ভাবে গাড়ি চালায় তাদের গাড়ির শব্দ এবং দ্রুতগতির কারণে আতঙ্কিত হয়ে পথ চলতে হয়। অনেকে অবৈধ মোটরসাইকেল চালিয়ে নির্জন স্থানে গিয়ে মাদকসেবন, চুরি ও ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কাজ করে থাকে। এদেরকে অভিযানের মাধ্যমে আইনের আওয়াতায় আনা এখন সময়ের দাবি।
থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ২০২১ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন ও ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ২ জন লোক মারা গেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুলাউড়ার দায়িত্বরত এক ট্রাফিক সদস্য এই প্রতিবেদককে জানান, আমরা প্রতিদিনই ফিটনেস বিহীন গাড়ি ও বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে অনেক চালকদের আটক করি। কিন্তু ক্ষমতাসীনসহ বিভিন্ন দলের নেতা গাড়ি আটক করার পরই ফোন করে তদবির করেন।
তদবির না রাখলে অনেকে দেখে নেয়ারও হুমকি দেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া ট্রাফিক জোনের ইন্সপেক্টর মো. মিজান এই প্রতিবেদককে বলেন, এসব রোধে নানাভাবে অভিযান চালিয়েও এদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে কুলাউড়ার সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা কামনা করি।