মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস। স্বাধীনতার এই ৫১ বছর উদযাপনে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আজ শনিবার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানায় জাতি। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হন মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ সন্তানরা।
দিনের শুরুতেই স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা।
ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পরপরই শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা।
এ সময় সশস্ত্র সালাম জানায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সুসজ্জিত চৌকস দল; বেজে ওঠে বিউগলের করুণ সুর।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সভাপতি হিসেবে আরও একবার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ ও কেন্দ্রীয় নেতারা।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ১৪ দল। এরপর শ্রদ্ধা জানাতে আসেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
পরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে স্মৃতিসৌধে আসা বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা শ্রদ্ধা জানান।
রাষ্ট্রীয় আয়োজন শেষে স্মৃতিসৌধ খুলে দেয়া হয় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য। ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে বিনম্র চিত্তে স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের।
করোনাভাইরাস মহামারি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টিতে জোর দিয়েছে সরকার। তাই স্মৃতিসৌধ আমন্ত্রিত অতিথিদের ভোর ৫টা ২০ মিনিটের পরিবর্তে সোয়া ৭টায় আসার অনুরোধ জানায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
করোনা সংক্রমণের তীব্রতা কমে যাওয়ায় ভোর থেকে স্মৃতিসৌধে ভিড় করেন শ্রদ্ধাবনত হাজারো মানুষ। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙতে জাতির যে বীর সন্তানেরা জীবন উৎসর্গ করেছেন, কৃতজ্ঞচিত্তে তাদের স্মরণ করছে পুরো দেশ।