মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১২:২৪ পূর্বাহ্ন
বিনোদন ডেস্ক :: বাংলা সংগীত জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের পতন হয়েছিল ২০০৫ সালের ২৯ মার্চ। মাত্র ৪৫ বছর বয়সে ভক্ত অনুরাগীদের কাঁদিয়ে ত্যাগ করেছিলেন পৃথিবীর মায়া। বলছি, খালিদ হাসান মিলুর কথা। এই কিংবদন্তি গায়কের মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
১৭ বছর কেটে গেছে তার প্রস্থানের। কিন্তু ভক্ত অনুরাগীরা আজও মনে রেখেছেন তাকে তার গানের মাধ্যমে। মাত্র ২০ বছর বয়সে ১৯৮০ সালে খালিদ হাসান মিলু শুরু করেছিলেন সংগীত জগতের যাত্রা। এরপর তিনি তার ক্যারিয়ারে তুলে নিয়েছেন ১২টি অ্যালবাম।
খালিদ হাসান মিলু তার প্রথম ‘ওগো প্রিয় বান্ধবী’ অ্যালবামের মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলেন। তার উল্লেখযোগ্য অ্যালবামগুলো হচ্ছে- প্রতিশোধ নিও, নীলা, শেষ ভালোবাসা, আয়না, মানুষ ইত্যাদি।
মধুমাখা কণ্ঠ কিংবা স্বর্ণকণ্ঠের গায়ক খালিদ হাসান মিলু ২৫০ বাংলা চলচ্চিত্রে প্রায় পাঁচ হাজারের মতো গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। সেসব গানের বেশির ভাগই ছিল তুমুল শ্রোতাপ্রিয়
তার মধ্যে আজও মুখে মুখে বাজে ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’ সিনেমার ‘যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে’, ‘বিদ্রোহ চারিদিকে’ সিনেমার ‘জীবন ফুরিয়ে যাবে’, ‘ভালোবাসি তোমাকে’ সিনেমার ‘অনেক সাধনার পরে’, ‘বাবা কেন চাকর’ সিনেমার ‘আমার মতো এত সুখী’ ইত্যাদি গান। অসংখ্য গানের এই শিল্পী আজও মানুষের হৃদয়ে বিশেষ স্থানে অবস্থান করছেন।
শ্রোতাদের ভালোবাসার পাশাপাশি মিলু ১৯৯৪ সালে ‘হৃদয় থেকে হৃদয়’ চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন। তার পরবর্তী প্রজন্ম প্রতীক হাসান ও প্রীতম হাসানও হাঁটছেন বাবার দেখানো পথে। তারাও আছেন গানের সঙ্গে।