শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৬ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: রেলওয়ের রানিং স্টাফ (চালক-গার্ড) ও শ্রমিক-কর্মচারী অঘোষিত ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। বুধবার (১৩ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১৮টি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিডিউল বিপর্যয়ের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মো. মাসুদ সারওয়ার বলেন, কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে দিনে ৭২টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায়। কিন্তু আজ ধর্মঘট থাকায় সকাল ৬টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১৮টি ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। এসব ট্রেনের টিকিট যাত্রীদের ফেরত দেওয়া হচ্ছে। একইভাবে দেশের অন্যান্য স্টেশন থেকে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।
তবে কী পরিমাণ যাত্রী টিকিটের টাকা ফেরত নিয়েছেন তার সঠিক তথ্য তিনি দিতে পারেননি।
বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, টিকিট কাউন্টারগুলোয় টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন যাত্রীরা। চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন রেলওয়ের কর্মকর্চারীরা।
ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে যেসব ট্রেন ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল সেগুলো ছেড়ে যায়নি। গতরাত থেকেই চালকসহ রানিং স্টাফরা সংশ্লিষ্ট কাজে বিরতি দিয়েছেন। রাত ৩টা ২০ মিনিট থেকে রেলপথে চালকসহ রানিং স্টাফরা ইঞ্জিন পরিচালনার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা বন্ধ করে দেন।
এর আগে মাইলেজ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির কর্মসূচিতে যায় রেলওয়ে রানিং স্টাফ কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। পরে ৩০ জানুয়ারি রেলভবনে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে কর্মসূচি স্থগিত করে তারা। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দেওয়া আশ্বাসগুলোর মধ্যে ছিল, পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা আগের মতো বহাল রাখতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে স্বল্পতম সময়ে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেবে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ে। এছাড়া গত বছরের ৩ নভেম্বরের আগে যেসব রানিং স্টাফ অবসরে গেছেন, তাদের আগের নিয়ম অনুযায়ী পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
কিন্তু গত ১০ এপ্রিল এ সংক্রান্ত চিঠি পাওয়ার পরও রেলওয়ের রানিং স্টাফরা আজ এ ধর্মঘটে গিয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।