শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: আর মাত্র এক দিন পরেই ঈদুল আজহা। রাজধানীর পথে পথে ঘরমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় এখনো চোখে পড়ার মতো। আজ শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল থেকেই নগরীর শ্যামলী, আসাদগেট, মোহাম্মদপুর, সায়েন্সল্যাব, শাহবাগ ঘুরে দেখা গেছে যানবাহনের তীব্র সংকট। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও মিলছে না যাত্রীবাহী বাস। এতে শুধু ঘরমুখী মানুষই নয়; যারা ঢাকায় ঈদ করবেন জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ছেন চরম বিপাকে।
রাজধানীর শ্যামলী শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দেখা যায়, সড়কের দুই পাশেই জটলা পাকিয়ে অপেক্ষা করছেন লোকজন। যাত্রাবাড়ী রুটের একটি বাস এসে দাঁড়াতেই ওঠার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়লেন নারী-পুরুষসহ অনেকেই। তবে বাস আগে থেকেই কানায় কানায় পূর্ণ। উঠতে পারলেন কয়েকজনই। দরজায় বাদুরঝোলা হয়েও গন্তব্যের পথে ছুটলেন কয়েকজন।
ভোগান্তির এখানেই শেষ নয়। প্রতিটা বাসেই নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। খানিকবাদে কিছুটা খালি ‘৮ নম্বর’ একটি বাস এসে দাঁড়ায়। তবে হেলপারের ডাকাডাকিতে স্তম্ভিত হতে হলো। তিনি বলছেন, গন্তব্য যেখানেই হোক, বাসে উঠলেই গুনতে হবে সর্বনিম্ন ৬০ টাকা।
একই চিত্র রাজধানী আসাদগেটে। যেখানেও শত শত মানুষকে গাড়ির জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। কিন্তু যাত্রীর তুলনায় পরিবহনের সংখ্যা নিতান্তই কম। কথা হয় মোহাম্মদপুর থেকে হেঁটে আসা যাত্রী আজিজুল ইসলামের সঙ্গে। অন্যান্য দিন বসিলা থেকে মিরপুর হয়ে আব্দুল্লাহপুরগামী প্রজাপতি ও পরিস্থান নামের দুটি পরিবহনের বাস অন্তত প্রতি ৫ মিনিট পরপর পাওয়া যায়। সেখানে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করেও একটি বাস পাননি তিনি। অবশেষে অন্য রুটের একটি বাসে মোহাম্মদপুর পর্যন্ত এসেছেন তিনি। সেখান থেকে হেঁটেই আসাদ গেট এসেছেন। কলাবাগানে তার গন্তব্য।
এদিকে গণপরিবহনের ঘাটতির সুযোগে দৌরাত্ম্য বেড়েছে সিএনজি অটোরিকশা ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের। শ্যামলী থেকে এক যাত্রী যাবেন মহাখালী হাসপাতালে। বাস-সংকট দেখে দামদর করছেন এক মোটরসাইকেল চালকের সঙ্গে। ওই বাইকার ভাড়া চাইছেন ২০০ টাকা। বাইকে নিয়মিত ভাড়া যেখানে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা।