1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

অনন্ত’র ১০০ কোটির সিনেমা: বাজেট ও নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন নির্মাতা-শিল্পীদের

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৩ জুলাই, ২০২২
  • ৩২৭ বার পঠিত

বিনোদন ডেস্ক :: ঈদুল আজহা উপলক্ষে রোববার (১০ জুলাই) ১১৫ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমা ‘দিন দ্য ডে’। এতে অভিনয় করেছেন অনন্ত জলিল ও বর্ষা। এই সিনেমা দিয়ে দীর্ঘদিন পর বড় পর্দায় এলেন তারা। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম। বিগ বাজেটে নির্মিত সিনেমাটি মুক্তির প্রথম ও দ্বিতীয় দিন হতাশ করেছে দর্শকদের! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখ রাখলেই তা দেখা যাচ্ছে। সিনেমাটি দেখে হতাশ হয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা রিয়াজুল রিজুও। সিনেমা দেখে টিকেটের টাকা ফেরত চেয়েছেন এই নির্মাতা!

‘বাপজানের বায়স্কোপ’ চলচ্চিত্র দিয়ে চমকে দেন তরুণ নির্মাতা রিয়াজুল রিজু। এই সিনেমাটি নির্মাণ করে সেরা পরিচালক, সেরা চলচ্চিত্রসহ মোট আটটি ক্যাটাগরিতে নয়টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জেতেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে এই নির্মাতা লেখেন, দিন দ্য ডে-দিনটা নষ্ট, শতকোটি টাকার আওয়াজে হলে গিয়ে কিছুই না হওয়া একটি ফালতু চলচ্চিত্র দেখে টাকাটা যে, ফেরত চাইব সেই অপশন ছিল না। কারণ, টাকাটা গেট কিপার মেরে দিছে টিকেট দেয়নি। সিনেমা হল নামক ওভেন থেকে বাসায় এসে প্রচন্ড ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।

সিনেমাটির নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে রিজু বলেন, আমাদের টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির একদম জুনিয়র নাটকের নির্মাতাকে ১০ লাখ টাকা দিলেও এর চাইতে সুন্দর প্রোডাকশন বানাতে পারবে। মিশা সওদাগর ভাইয়ের মতো ভালো অভিনয়শিল্পীকে পোস্টারসহ কোনও জায়গায়ই সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি। বিষয়টির জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত।

চাঁদমহল সিনেমা হল (কাঁচপুর) এর কথা উল্লেখ করে এই নির্মাতা লেখেন, জীবনের প্রথম দেখা সিনেমা হল ছিল চাঁদমহল। তখন যদিও অনেক ছোট ছিলাম। ছোট চাচা ডা. রুহুল আমিন ছিল আমার সিনেমা হলে যাওয়ার হাতেখড়ি। খুবই অবাক হয়েছি তিরিশ বছরেও বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি হলের। কোথায় চলে গিয়েছে বিশ্ব, টেকনোলজি ও মানুষ। এই রকম গরম সহ্য করে দর্শক যে এসব হলে এখনও ঢুকে এটাই অনেক বেশি। হল এবং চলচ্চিত্রের উন্নয়ন দুটোই প্রয়োজন। দর্শককে আমরা কষ্টও দিচ্ছি এবং ঠকাচ্ছি দিনের পর দিন।

অনেকদিন ধরেই অনন্ত জলিল বলে আসছেন, তার এই সিনেমার বাজেট ১০০ কোটি টাকার বেশি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত বেশি বাজেটের আগে কোনো সিনেমা নির্মিত হয়নি। যদিও এই বাজেটের বিষয়টি বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু অনন্ত বারবার এই বাজেটকে সামনে এনে নিজের সিনেমাকে সেরা দাবি করে আসছেন।

এদিকে, নাম উল্লেখ না করে অনন্ত জলিলকে খোঁচা দিলেন ঢাকাই সিনেমার কালজয়ী নায়িকা নূতন। তার মতে, শুধু বেশি টাকা দিয়েই ভালো সিনেমা হয় না। সিনেমার জন্য মেধা ও ত্যাগ লাগে।

নূতন বলেছেন, বেশি বাজেট হলেই যদি ভালো, মানসম্মত, মনে রাখার মতো ফিল্ম হতো, ভালো অভিনেতা টাকা দিয়ে জন্মাতো, তাহলে এই দেশে কখনো—‘মাটির ময়না’, ‘ওরা ১১ জন’, ‘গোলাপি এখন ট্রেনে’, ‘ভাত দে’, ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘বেদের মেয়ে জোছনা’, ‘ছুটির ঘন্টা’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘আয়নাবাজি’সহ অসংখ্য ভালো, মনে রাখার মতো, মনে ধারন করার মতো সিনেমা জন্মাতো না। আর রাজ্জাক সাহেবসহ নাটক-সিনেমায় গুণী গুণী অভিনেতা জন্মাতো না, থিয়েটার থাকত না।

নিজের টাকায় নায়ক হওয়া যায়, তবে অভিনেতা হওয়া যায় না—এমন কথা উল্লেখ করে নূতন বলেন, টাকা দিয়ে ভালো ভিডিওচিত্র বানানো যায়, তবে মনে দাগ কাটার মতো ফিল্ম বানাতে টাকার পাশাপাশি মেধা লাগে, ফিল্মের জন্য ত্যাগ লাগে। টাকা দিয়ে নিজে সিনেমা করে হিরো হওয়া যায়, অভিনেতা-অভিনেত্রী না। গায়ক হওয়া যায়, প্রকৃত গানের শিল্পী না। টাকায় অনেক কিছু হয়, তবে সব হয় না। মানুষের মনে শিল্পী হিসেবে স্থায়ী জায়গা করার জন্য অভিনয় গুণ ও দক্ষতা লাগে।

১০০ কোটি টাকা বাজেটের বিষয়টিকে খোঁচা দিয়ে নূতন বলেছেন, ১০০-৫০০ কোটি হলেই যদি সিনেমা হয়ে যেতো, তাহলে ভারতে, হলিউডে, কোরিয়ান ফিল্ম, তামিল সিনেমা, সব অস্কার পেতো বা বিশ্বসেরা হতো। আর সত্যজিৎ রায় জন্মাতো না। ঘরে ঘরে স্পিলবার্গ আর সত্যজিৎ রায় থাকত। পাড়া বা মহল্লায় একজন করে উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন থাকত, আর রাজ্জাক-শাবানা থাকত। টাকায় শিল্প হয় না। টাকায় আলোচিত বা সমালোচিত সাময়িক বলার মতো সিনেমা হয়, তবে যুগ-যুগ ধরে মনে গেঁথে রাখার মতো চলচ্চিত্র হয় না।

চিত্রনায়ক ওমর সানী সিনেমার নাম উল্লেখ না করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তার ইঙ্গিত খুব স্পষ্ট। সানী লিখেছেন, অতিরিক্ত টাকা দিয়ে সিনেমা হয় না, আবার টাকা ছাড়া সিনেমা হয় না, ফুটাংগিরি করে লাভ নাই। সিনেমা চলে গল্পের জোরে মানানসই আর্টিস্ট গান এবং নতুনত্ব, আমাদের এ রকম বহু সিনেমা আছে হিট বাম্পার হিট বেশি টাকা দিয়ে বানানো হয়নি, কিন্তু চলেছে আকাশ ছোঁয়া। কয়টা সিনেমার নাম শুনতে চান, রেজাল্ট বলে দিবে, টাকা দিয়ে বানাইছেন নাকি ডলার দিয়া, খালি আওয়াজ, সিনেমার সবচেয়ে বড় বিচারক দর্শক নীরব থাকেন।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..