শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: আজ ২৫ জুলাই’২২ সোমবার সকাল ১০টায় মৌলভী চা বাগানের শ্রমিকদের ভোগদখলীয় ৩.৫০ একর জমির উপর শেখ কামাল আইটি এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং চা শ্রমিকদের ভূমির অধিকারের দাবিতে মৌলভী চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটি এবং বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন এর পক্ষ থেকে প্রতিবাদ সমাবেশ- মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মৌলভী চা বাগান থেকে মিছিল গিয়াসনগর বাজার হয়ে আইটি সেন্টারের জন্য নির্ধারিত ভূমির সামনে পঞ্চায়েত সভাপতি জ্ঞান উড়াং এর সভাপতিত্বে এবং রাজিব সূত্রধর এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কিরণ শুক্ল বৈদ্য, চা শ্রমিক গীতা উড়াং, গৌতম পাশী, রতন গড়াই, অমৃত তেলি প্রমুখ চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ১২ নং গিয়াসনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গোলাম মোশাররফ টিটু, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ নন্দী।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ২২জুলাই শুক্রবার আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক এবং মৌলভীবাজার ৩ আসনের সংসদ সদস্যসহ সরকারের একটি প্রতিনিধি দল উক্ত জমিতে উপস্থিত হয়ে “শেখ কামাল আইটি এন্ড ইনকিবেশন সেন্টার” স্থাপন করার জন্য অনুমান ৩.৫০ একর জমি চিহ্নিত করে। বংশ পরম্পরায় উক্ত জমিতে তিন ফসলী ধান ও রবিশস্য চাষাবাদ করে মৌলভী চা বাগানের শ্রমিকরা অস্তিত্ব রক্ষা করে আসছে। কিন্তু সরকার হঠাৎ করে চা শ্রমিকদের দখলীকৃত জমিতে আইটি সেন্টার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা মৌলভী চা বাগানের শ্রমিকদের সাথে প্রতারনার সামিল। এই জমি আমাদের মা আমরা এই জমি কোন ভাবেই আইটি সেন্টারের জন্য ছেড়ে দিবো না। শুধু স্মারকলিপি নয় প্রয়োজনে আগামীতে ভূমি রক্ষার জন্য মৌলভী চা বাগানে বসবাসকারী শ্রমিকরা অস্তিত্ব রক্ষায় বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। মৌলভী চা বাগানের ইতিহাস বলে শ্রমিকদের সাথে প্রতারনা করে কেউ আন্দোলনের মুখে ঠিকে থাকতে পারে নি।
প্রতিবাদ সমাবেশ পরবর্তী মৌলভী চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি জ্ঞান উড়াং এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের নিকট এই মর্মে স্মারকলিপি পেশ করেন। ডিসির অনুপস্থিতিতে এডিসি (সার্বিক) প্রতিনিধিদের নিকট হতে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। স্মারকলিপি প্রদান সময়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা অ্যাড. আবুল হাসান।