রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:১১ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : সংকটে পুড়ছে দেশের মুদ্রা বাজার। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর খোলাবাজারে ডলারের দর উঠেছে ১১২ টাকা। পুরো বাজারজুড়েই এখন মার্কিন মুদ্রার জন্য হাহাকার। বেশিরভাগ মানি এক্সচেঞ্জেই ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামেও চাহিদামাফিক ডলার মিলছে না। রিজার্ভ থেকে ডলার ছেড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করেও কূল পাচ্ছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি মাসেই ৯৯ কোটি মার্কিন ডলার বাজারে ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
টাকার অবমূল্যায়ন করে আন্তঃব্যাংক লেনদের জন্য যে দর বেধে দেয়া হচ্ছে, তা মানছে না ব্যাংকগুলো। প্রতি ডলারের দর ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা ঠিক করা হলেও এই দরে হচ্ছে না লেনদেন। বরং বৈদেশিক মুদ্রার যোগান বাড়াতে ১০২ টাকা দরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স কিনেছে অনেক ব্যাংক। একই দামে শোধ করা হয়েছে আমদানি দায়ও।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডলারের বর্তমান এই রেট আমরা কূলাতে পারছি না। ব্যাংকগুলোকে যখন তাদের নিজেদের ডলার ইনকাম করতে হচ্ছে। বাইরে থেকে রেমিটেন্সের মাধ্যমে যে রেটে তারা ডলার আনছে, তার পরিপেক্ষিতেই আবার সেল করছে।
আর খোলা বাজারে যেনো পড়েছে ভূতের আছর। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ১১২ টাকায়ও মেলেনি ডলার। সংকটে অনেক মানি এক্সচেঞ্জের কর্মীরা অলস সময় কাটিয়েছেন। পরিস্থিতি উত্তরণে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ চান তারা।
মানি চেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এ কে এম ইসমাইল হক বলেন, আপনি আইন করলেন ঠিকই কিন্তু সেটি যদি বাস্তবায়ন না হয় তাহলে তো মুশকিল। ব্যাংকের ডলার রেট আপনারা ধরে নিলেন ৯৪ টাকা কিন্তু সেটি এলসি করার পর দেখা যায় ১০৪ টাকায়ও পাওয়া যায় না।
ব্যাংক ও খোলা বাজারে ডলারের দামের এতো ফারাক নতুন করে হুন্ডিকে উৎসাহ যোগাবে বলেও জানান তারা।