রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: ধর্মীয় সহিংসতা ঠেকাতে সারাদেশে ‘সামাজিক সম্প্রীতি কমিটি’ করেছে সরকার। প্রত্যেক জেলায় ২৩ সদস্যের কমিটির সভাপতি করা হয়েছে ডিসিকে। এছাড়া ২৪ সদস্যের উপজেলা কমিটির সভাপতি রাখা হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও)। ইউনিয়ন পর্যায়েও আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার সব সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদের প্রশাসককে। আর পুলিশ সুপারকে (এসপি) রাখা হয়েছে সদস্য হিসেবে।
উপজেলা পর্যায়ের কমিটিতে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ওই উপজেলার সংসদ সদস্যকে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা করা হয়েছে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে। ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটি করা হয়েছে ১৪ সদস্যবিশিষ্ট। এ কমিটির প্রধান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। সদস্য সচিব করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে।
গত ২৪ জুলাই পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। এই তিনটি কমিটির সদস্যদের কাজ কী হবে, তা-ও প্রজ্ঞাপনে বিস্তারিত বলা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা নিজ নিজ এলাকায় সম্প্রীতি-সমাবেশ, উদ্বুদ্ধকরণ সভা, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে বিদ্যমান আন্তঃধর্মীয় সম্পর্ক ও সামাজিক বন্ধনকে সুসংহত রাখাসহ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে এগিয়ে নিতে সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।
ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার রোধকল্পে প্রয়োজনীয় প্রচার ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেবে। মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সব উপাসনালয়ের নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর সহায়তা দেবে। সব ধর্মীয় উৎসব যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে উদযাপনের পরিবেশকে অক্ষুন্ন রাখতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে এসব কমিটি। বিভিন্ন ধর্মের শান্তি ও সৌহার্দের বাণীগুলো ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।