1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

মৌলভীবাজারে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মীসভা

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২
  • ১৪০ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার :: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানো, বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণ মজুরি এবং ৮ ঘন্টা কর্মদিবস, নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র প্রদানসহ শ্রমআইন কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে মৌলভীবাবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন। ৩০ জুলাই সন্ধ্যা ৬.০০ টায় শহরের চৌমুহনাস্থ দলীয় কার্যালয়ে মৌলভীবাবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তারেশ চন্দ্র দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত কর্মীসভায় এই দাবি জানানো হয়। কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ ছাদেক মিয়া। এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি কবি শহীদ সাগ্নিক, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস, মৌলভীবাজার জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ সোহেল মিয়া, মৌলভীবাবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাহিন মিয়া প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতিতে হোটেল শ্রমিকসহ নি¤œ আয়ের জনগণের জীবনে নাভিশ্বাস উঠছে। অথচ চাল, ডাল, তেল, লবন, পিয়াজ, আদা, রসুনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতিতে হোটেল শ্রমিকদের বেঁচে থাকাই দায় হয়ে পড়ছে। তার উপর সরকার আবারও জ¦ালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে। জীবনযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রেই লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি ঘটলেও শ্রমিক-কৃষক-জনগণের আয় বাড়েনি। হোটেল রেস্টুরেন্ট শ্রমিকদের অবস্থা আরও দুর্বিষহ। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কথা বলে হোটেল মালিকরা প্রতিটি খাবারের দাম বাড়িয়েছেন কিন্তু শ্রমিকদের মজুরি একটি টাকাও বাড়াননি। বর্তমানে সরকার দেশব্যাপী দোকানপাট রাত ৮ টার মধ্যে বন্ধ করতে বাধ্য করার পাশাপাশি শুরু করেছে অসহনীয় বিদ্যুতের লোডশেডিং। অথচ সরকার তাঁর তথাকথিত উন্নয়নের সাফাই গেয়ে শতভাগ বিদ্যুতায়িত করা এবং লোডশেডিং জাদুঘরে পাঠানোর কথা বলেছিলো। সরকারের তথাকথিত উন্নয়ন যে কত বড় ফাঁকা বুলি জনগণ আজ তা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছে। লোডশেডিং ও ব্যবসা মন্দার অজুহাতে হোটেল মালিকরা রাতের শিফটের শ্রমিকদের ছাঁটাই করে শ্রমিকদের উপর কাজের ঘনত্ব চাপিয়ে শ্রমশোষণ তীব্রতর করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এদিকে প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়ছে, অথচ শ্রমিকের মজুরি বাড়ছে না। এমন কি শ্রমআইন অনুয়ায়ী ৫ বছর অন্তর মজুরি পুণঃনির্ধারণ করার বাধ্যবাধকতা থাকলে হোটেল সেক্টরে ৫ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও সরকার নি¤œতম মজুরি বোর্ড গঠন করছে না। হোটেল মালিক দেশের শ্রমআইন ও রাষ্ট্রীয় আইনেরও তোয়াক্কা করেন না। হোটেল শ্রমিকদের সকল প্রকার আইনী অধিকার হতে বঞ্চিত করা হয়। বাংলাদেশ শ্রমআইন-২০০৬(অদ্যাবধি সংশোধিত) এর ধারা ২(২ক) এবং বাংলাদেশ শ্রমবিধিমালা-২০১৫ এর বিধি ১১১(৫) অনুযায়ী প্রত্যেক শ্রমিককে উৎসব বোনাস এবং শ্রমআইনের-এর ৫ ধারায় নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র, ৬ ধারায় সার্ভিস বই, ২(১০) ধারায় প্রতিবছর চাকুরীর জন্য ৪৫ দিনের গ্রাচুইটি, ২৬(ক) ধারায় চাকুরীচ্যূতি জনিত ৪ মাসের নোটিশ পে, ১০৩ ধারায় সপ্তাহে দেড়দিন সাপ্তাহিক ছুটি, ১০৮ ধারায় দৈনিক ৮ ঘন্টা সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টা কাজ, অতিরিক্ত কাজের জন্য দ্বিগুণ মজুরি প্রদান, ১১৫ ধারায় বছরে ১০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি, ১১৬ ধারায় ১৪ দিন অসুস্থ্যতার ছুটি, ১১৭ ধারায় প্রতি ১৮ দিন কাজের জন্য ১ দিন অর্জিত ছুটি, ১১৮ ধারায় ১১ দিন উৎসব ছুটি প্রদানের আইন থাকলেও হোটেল শ্রমিকদেরকে এই সকল আইনগত অধিকার হতে বঞ্চিত করা হচ্ছে। হোটেল মালিকরা সরকারী আইন লঙ্ঘন করে মনগড়া নিয়মে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। হোটেল শ্রমিকরা দৈনিক ১২/১৪ ঘন্টা অমানবিক পরিশ্রম করে অর্ধাহারে-অনাহারে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হন, যার কারণে হোটেল শ্রমিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
কর্মীসভা থেকে ৮ ঘন্টা কর্মদিবস, নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র প্রদানসহ শ্রমআইন কার্যকর, অবিলম্বে হোটেল-রেস্টুরেন্ট সেক্টরে নি¤œতম মজুরি বোর্ড গঠন করে বর্তমান বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে বাঁচার মতো মজুরি নির্ধারণ, দফায় গ্যাস-বিদ্যুত-জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি বন্ধ করা, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো, লোডশেডিং বন্ধ, দোকানপাট ও মার্কেট রাত ১০ টা পর্যন্ত খোলা রাখা এবং স্বল্পমূল্যে সর্বাত্মক রেশনিং চালুর দাবি জানান।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..