1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

কমেছে ডিম-ব্রয়লার মুরগির দাম

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০২২
  • ১৪৪ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট :: অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পর রাজধানীর বাজারগুলোতে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। ডিমের দাম ডজনে ৩০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে এখনো শাকসবজির বাজার অনেকটা চড়া অবস্থায় রয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

জ্বালানি তেল কেরোসিন, ডিজেল, পেট্রল ও অকটেনের মূল্যবৃদ্ধির পর দফায় দফায় বাড়ে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম। এতে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা হয়ে যায়। এ ছাড়া ডিমের ডজন বিক্রি হয়েছিল ১৬০ টাকায়। দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনো এত বেশি দামে ডিম বিক্রি হয়নি।

ডিমের এমন অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় চাহিদায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিক্রি কমে যাওয়ায় দামও কমেছে। আজ রাজধানীর বাজারগুলোয় এক ডজন ডিম ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আল-আমিন হোসেন বলেন, গত দুই দিনে ডিমের দাম ডজনে ৩০ টাকা কমেছে। আমাদের হিসাবে দাম আরও কমা উচিত। আসলে ডিমের দাম পুরোপুরি নির্ভর করে গাজীপুরের ব্যবসায়ীদের ওপর। গাজীপুরে অভিযান চালালে কয়েকদিনের মধ্যে ডিমের দাম আরও কমবে।

এদিকে গত সপ্তাহে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম কমে আজ ১৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দামও কিছুটা কমেছে। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা।

দাম কমলেও ব্রয়ালর মুরগি যে দামে বিক্রি হচ্ছে তাকে স্বাভাবিক বলছেন না ক্রেতারা। মালিবাগ কাঁচাবাজারে ব্রয়লার মুরগি কিনতে মাকসুদা বেগম বলেন, ব্রয়ালার মুরগির কেজি ১৮০ টাকা চাচ্ছে। এই দাম কিছুতেই স্বাভাবিক না। ব্রয়ালর মুরগি কেজি দেড়শ টাকার ওপরে হওয়া উচিত না।

তিনি বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি। ২০০ টাকা নিয়ে বাজারে গেলে তেমন কিছুই কেনা যায় না। সবকিছুর দাম বাড়ায় আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষ খুব কষ্টে আছে। আমাদের কষ্ট কেউ দেখতে পায় না।

এদিকে সর্বোচ্চ দামি সবজি শিম। বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। আর সবচেয়ে কম দামে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁপে। ১০০ টাকার বেশি দামের সবজির তালিকায় রয়েছে টমেটো ও গাজর। সবজি দুটি বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ১৩০ টাকা ও ১৬০ টাকা দরে। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দামি এই সবজিগুলোর পাশাপাশি বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপের কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কচুর লতি, ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা।

ওলকচু বড় ৫০ টাকা, ছোট ৩০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতিটি ৪০ টাকা, কাঁচা কলা হালি ২৫ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধুন্দল ৪০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, কচুরমুখি ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, টমেটো ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৪৫ টাকা, রসুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

এ ছাড়া পুঁইশাক ২০ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা, ডাটা শাক ১০ টাকা, পালং শাক ৩০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

বাজার করতে আসা সালামুল হক বলেন, আমি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে ছোট চাকরি করি। বাজারে সবজির দাম বাড়তি। আগে বাজারে ৪-৫ রকমের এক কেজি করে সবজি নিতাম আর এখন বাছাই করে ২ বা ৩ রকমের নিতে হচ্ছে। অল্প খেয়ে কোনো মতে বেঁচে আছি, আর দিন পার করছি।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৯০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৬০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামে পরিবর্তন আসেনি।

দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ইলিশ মাছের। এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..