মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৭:৫৮ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : গাজীপুরে ছোট ভাইকে গাছে বেঁধে এক কিশোরীকে (১৬) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বিকালে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার দক্ষিণ সালনার বাতানিয়া টেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলো বাসন থানার বাড়িয়ালী এলাকার মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে হৃদয় (২২) ও বারবৈকা এলাকার তোফায়েল আহমেদের ছেলে মনির (২৮)।
ভুক্তভোগী জানায়, তার বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায়। সে গাজীপুরের টেকনগপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে পোশাক কারখানায় চাকরি করে। আরেকটি কারখানায় চাকরির বিষয়ে কথা বলতে শুক্রবার সকালে ছোট ভাইকে নিয়ে টেকনগপাড়া এলাকার এক বান্ধবীর বাসায় যায়। দুপুর ১২টার দিকে সেখান থেকে বাসায় ফিরছিলো তারা। এ সময় পাঁচ যুবক রাস্তা থেকে টেনে-হিঁচড়ে দক্ষিণ সালানার বাতানিয়া টেকের জঙ্গলে নিয়ে যায়। এরপর তার ভাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে তাকে ধর্ষণ করে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তানভীর আহমেদ জানান, শুক্রবার দুপুরে ৪-৫ জন যুবক রাস্তা থেকে তুলে কিশোরী ও তার ছোট ভাইকে পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ সালনার বাতানিয়া টেক এলাকার জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভাইকে গাছে বেঁধে রাখে। পরে কিশোরীকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে তারা। দুপুরে ওই যুবকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে কৌশলে সেখান থেকে দৌড়ে পার্শ্ববর্তী এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেয় ভুক্তভোগী। ঘটনার পর যুবকরা পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও এলাকাবাসী হৃদয় ও মনিরকে ধরে ফেলে। তাদের অপর সহযোগী নাসিম ও জাহেদুলসহ দিন জন পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে এলাকাবাসীর কাছ থেকে ওই দুই জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চাপাতি, হাতুড়ি ও বেঁধে রাখা শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতরা ছিনতাইকারী ও মাদক কারবারি দলের সদস্য।
গাজীপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, ভুক্তভোগী ও আটককৃতরা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে এখনো মামলা করা হয়নি।