1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

মণিপুরি মহারাসলীলা ৮নভেম্বর: পাড়ায় পাড়ায় চলছে উৎসবের শেষ মুহুর্থের প্রস্তুতি

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০২২
  • ৬৮৯ বার পঠিত

    বিশেষ প্রতিবেদক: মণিপুরী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব ৮ নভেম্বর। এই আয়োজনকে ঘিরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মণিপুরী পাড়া ও গ্রামগুলোতে এখন সাজ সাজ রব। বিকেল থেকেই মৃদঙ্গের তালে মণিপুরী গান ভেসে বেড়ায়। গান আর মৃদঙ্গের তাল অনুসরন করে একটু এগিয়ে গেলেই চোখে পড়ে মণিপুরীদের নাচের প্রস্তুতি।  মণিপুরি–অধ্যুষিত গ্রাম ও পাড়াগুলোতে বইছে উৎসবের হাওয়া। চলছে গোষ্ঠলীলা বা রাখাল নৃত্য এবং রাসনৃত্যের মহড়া। অন্যান্য বছরের মতো এবারও মণিপুরীদের পৃথক দুটি গ্রামে আয়োজন করা হয়েছে রাস উৎসবের।

উপজেলার মাধবপুরের জোড়া মন্ডপে বিষ্ণুপ্রিয়া (মণিপুরি) সম্প্রদায়ের ১৮০তম এবং আদমপুর মণিপুরি কালচারাল কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে মীতৈ (মণিপুরি) সম্প্রদায়ের ৩৭তম মহারাস উৎসব হবে। রাসপূর্ণিমার আলোয় ভেসে যাওয়ার জন্য আর মাত্র ৩ দিনের অপেক্ষার পালা।  মণিপুরী সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মণিপুরের রাজা ভাগ্যচন্দ্র মণিপুরে প্রথম এই রাসমেলা প্রবর্তন করেছিলেন। মণিপুরের বাইরে ১৮৪২ সালে কমলগঞ্জের মাধবপুরে প্রথম মহারাস উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। রাস উৎসবে সকাল বেলা ‘গোষ্ঠলীলা বা রাখাল নৃত্য হয়। গোধূলি পর্যন্ত চলে এই রাখাল নৃত্য। এরপর সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা শেষে রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয় রাস উৎসবের মুল পর্ব শ্রীশ্রী কৃষ্ণের মহারাসলীলা অনুসরণ। মণিপুরিদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্যের পোশাকে নেচে গেয়ে কৃষ্ণ বন্দনা ভোর পযন্ত চলে রাসলীলা। রাস নৃত্যে শ্রীকৃষ্ণ, রাধা ও প্রায় ৫০ জনের মতো গোপী থাকেন। গোপীর সংখ্যা অনেক সময় কম–বেশি হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কমলগঞ্জের দক্ষিণ মাঝেরগাঁও এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পাড়াগুলোতে চলছে রাস উৎসবের মহড়া। প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে রাস উৎসবের মহড়া চলছে। মহড়ায় আসা মনিপুরী ছেলেমেয়েদের রাস নৃত্যের বিভিন্ন কৌশল ও নিয়ম কানুন শিখিয়ে দিচ্ছিলেন রাস নৃত্যের শিক্ষক অজিত কুমার সিংহ। সঙ্গে ধীরেন্দ্র কুমার সিংহ মৃদঙ্গ বাজিয়ে ও রীনা সিনহা গান গেয়ে সেই মহড়ার তাল দিচ্ছিলেন। রাস উৎসবে এই গান ও তালের সঙ্গেই সারারাত ধরে নাচতে হবে শিল্পীদের। প্রায় ২৫ জন ছেলেমেয়ে শিক্ষকদের কথা অনুযায়ী মহড়া দিচ্ছিলেন।

মহড়ায় আসা সুবর্ণা রানী সিংহা বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকেই নাচ শিখি। কিন্তু সবাই রাস উৎসবে অংশ নিতে পারে না। এ জন্য আমাদের অনেক প্রশিক্ষণ নিতে হয়। এখন প্রায় ২০ দিন ধরে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতিদিন মহড়ায় অংশ নিচ্ছি। রাস উৎসব নিয়ে আমাদের ভালো প্রস্তুতি আছে। আমরা চাই আমাদের এই উৎসবে সবাই আসুক। শিক্ষক অজিত কুমার সিংহ বলেন, মূলত রাস উৎসবের প্রায় এক মাস আগ থেকেই মহড়া শুরু করি। রাস উৎসবে অংশ নেওয়া মনিপুরী ছেলেমেয়েদের অনেকেই নতুন। আবার অনেকে পুরাতন। আমরা এক মাস প্রস্তুতি নিয়ে তাদের প্রস্তুত করি। প্রতিদিন নিয়ম মেনে সবাই আসেন। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নৃত্যের মহড়া চলছে। রাস নৃত্যের আরেক শিক্ষক ধীরেন্দ্র কুমার সিংহ বলেন, ৮ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রাখাল নৃত্য শুরু হবে। সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান। রাত সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হবে রাস নৃত্য। এই রাস নৃত্যের জন্যই মহড়া হচ্ছে। দেশ–বিদেশ দর্শনার্থীরা এই রাস উৎসব দেখতে এখানে ভিড় করেন। এটা মনিপুরীদের ঐহিত্যবাহী উৎসব।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..