সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক : গ্রুপ পর্বে অনেক নাটকীয়তার পর প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে অষ্টম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিতে ১৯৯২ আসরের পুনরাবৃত্তি, অনুপ্রাণিত হতে চায় পাকিস্তান।
বুধবার (৯ নভেম্বর) সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায়।
ইমরান খানের বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্বে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ১৯৯২ বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান। সে আসরের মতো আবারও সামনে একই চিত্র, এবারও সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি পাকিস্তান।
১৯৯২ আসরে কোনও রকমে সেমিফাইনালে উঠেছিল পাকিস্তান। টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়তে-পড়তে ভাগ্যের সহায়তায় কোনও ভাবে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছিল উপমহাদেশের দলটি। ইনজামাম-উল-হকের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ফাইনালে ওঠা পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত ১৯৯২ আসরের শিরোপা জিতেছিল।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠা অপর দুই দল ইংল্যান্ড-ভারত বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) অ্যাডিলেডে মুখোমুখি হবে।
বুধবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে পাকিস্তান কোচ ম্যাথু হেইডেন বলেছন, ‘এটি (১৯৯২ বিশ্বকাপ) সরাসরি প্রভাব ফেলছে না। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মিডিয়ার কল্যানে ক্রিকেট ভক্তদের একটি অংশ, খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফ, আমরা সবাই এই মিশনের গুরুত্ব এবং তাৎপর্য বুঝতে পারি। এবং ‘৯২’ আসর পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য স্মরণীয় একটি দিন ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেবারের টুর্নামেন্টেও সেমির আগ পর্যন্ত পাকিস্তান দল ছিল অগোছালো, আহামরি কোনও পারফরমেন্স ছিল না। চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে এবং তারপর হঠাৎ করে ঘুড়ে দাঁড়ায় পাকিস্তান। তারা বিপজ্জনক এবং শক্তিশালী হয়ে উঠে। পাকিস্তানের জন্য সে বারের আসরটিও ছিল এবারের আসরের মতই।’
হেইডেন আরও জানান, ‘মূলত একজন ভক্ত এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার হিসাবে আমি এতটুকু বলতে পারি-পাকিস্তান ক্রিকেটের পেস বোলিং আক্রমণ এবং ব্যাটিং লাইন-আপে আমাদের সত্যিই কিছু দেখার আছে।’
জয়ের অবস্থায় থেকেও নিজেদের প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হারতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। পরের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে হার মানে তারা। পরপর দু’টি ম্যাচ হেরে সেমিফাইনালের পথ কঠিন হয়ে পড়ে পাকদের। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নেদারল্যান্ডসকে হারানোর পর সেমির লড়াইয়ে ফিরে তারা। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা হারে পাকিস্তানের জন্য বড় সুযোগ তৈরি হয়।
বাংলাদেশের বিপক্ষে অনানুষ্ঠানিক কোয়ার্টার ফাইনালে পরিণত হওয়া ম্যাচটি ৫ উইকেটে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে পাকিস্তান।