শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন
বিশ্বজিৎ কর : মাঠের পাকা ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা। ধানের আশানুরূপ ফলন হওয়ায় কৃষক-কৃষাণির চোখে-মুখে দেখা দিয়েছে আনন্দের ঝিলিক। বর্তমানে বাজারে ধানের দাম নিয়েও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কৃষকেরা।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বিচ্ছিন্নভাবে কৃষকরা মাঠে পেকে যাওয়া আগাম জাতের সোনালী ধান কাটছেন।
স্থানীয় ও উফশী জাতের ধান লাগিয়েছেন জমিতে । ব্রি-১১, স্বর্ণা আর আসামি। ফলন কেমন হয়েছে জানতে চাইলে তারা বলেন, নিজে খাওয়ার জন্য লাগিয়েছেন আসামি জাতের ধান। ফলন ৩৫ মন হতে পারে প্রতি একরে। তারপরও লাগিয়েছেন ভাত স্বাদ হয় দেখে। এছাড়া বিক্রির জন্য ব্রি-১১ ও স্বর্ণা। এগারো ৭০ মন এবং স্বর্ণা ৫৫ মণ পর্যন্ত পাওয়ার আশা করছেন তিনি। এখন ধান কাটার অপেক্ষা।
এ সময় কৃষক আছকর মিয়া বলেন, বাজারে স্বর্ণ সহ অন্যান্য সাধারণ জাতের ধান মণপ্রতি ১হাজার ৪শত টাকায় বিক্রয় না হলে কৃষকের কোন লাভ থাকবে না। ধানের স্বাভাবিক ফলন ধরে রাখার জন্য প্রতি সপ্তাহে ১ বিঘা জমিতে প্রায় ৭শত টাকার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় । বাজারে কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য না পেলে তাদের পথে বসা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। কৃষকরা যাতে ধানের উপযুক্ত মুল্যপান সে বিষয়ে কৃষকেরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলার উপ পরিচালক ডিডি শামসুদ্দিন আহমেদ মৌমাছি কণ্ঠকে জানান, চলতি বছর ১ লাখ ১ হাজার ৬ শ হেক্টর জমিতে আমন লাগানো হয়েছে। ব্রি ৪৯, ৮৭, ৭৫, ৯২,১১,৩১ ও ব্রি-৩২ ধান লাগিয়েছে কৃষকেরা। এখন আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। আমাদের ধারণা ২ দশমিক ৯৭ মেট্রিক টন লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।