মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক::পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমাদের ব্যাংকিং খাত নিয়ে এখন অনেক আলোচনাই হচ্ছে। কিছু কিছু বিষয় গণমাধ্যমেও আসছে। তবে দু-একটি ঘটনার কারণে গোটা ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ে রায় দেওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, এখানে আইন রয়েছে, অন্যায় হয়ে থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ব্যাংকই দেউলিয়া হবে না। কয়েকদিন আগে একটা গুজব ছড়িয়েছিল যে ব্যাংকে টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। যেটা সম্পূর্ণ ভুল। একটা শ্রেণি অসৎ উদ্দেশ্যে এসব গুজব ছড়ায়।
আজ বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্বেই একটি অর্থনৈতিক টানাপোড়েন চলছে। আমাদের এখানেও টানাপোড়েন রয়েছে, এটা লুকাবার বিষয় নয়। সেই চাপ আমাদের এখানেও চলে আসে। বিশ্বে মূল্যস্ফীতি কমছে, আমাদের এখানেও খাদ্যদ্রব্য এবং তেলের দাম কমছে। সেই সাথে মূল্যস্ফীতিও নিচের দিকে নামছে। ভবিষ্যতে আরও কমবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের সম্পদের পরিমাণ বাড়ছে, এটা যেমন সত্য, তেমনি বৈষম্যও বাড়ছে, সেটাও সত্য। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামান্য হলেও উন্নয়ন হচ্ছে। বাংলাদেশে কেউ উপোস থাকে না। আগামীতে আমাদের আর্থিক অবস্থা আরও বাড়বে। কল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি আরও ভালো হবে। ভবিষ্যতে আরও ভালো রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎকেন্দ্র, হাসপাতাল ও স্কুল হবে। কেউ যদি পিছিয়ে থাকে তার জন্য ভাতার ব্যবস্থা রয়েছে। কেউ ভাতার বাইরে থাকবে না।
অনুষ্ঠানে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীরা দাবি করেন রিটায়ারমেন্টের ১৫ বছর পর পেনশন সুবিধা পাওয়ার যে সময় নির্ধারণ করা রয়েছে, সেই সময় যেন কমিয়ে ১০ বছর করা হয়।
এ দাবির বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আপনারা দাবি করেছেন ১০ বছর, এটা ৮ বছর হলে ভালো, ছয় বছর হলে আরও ভালো হয়। আমাদের সক্ষমতা ১৫-২০ বছর আগের তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এটা করা সম্ভব। তবে এই মুহূর্তে আমরা কিছুটা সমস্যায় রয়েছি। আপনারাও অনুভব করতে পারেন এই মুহূর্তে সরকার একটু চাপে রয়েছে। তবে চাপটা কেটে যাচ্ছে। আগামী দুই থেকে চার মাসের মধ্যে এই চাপ কেটে যাবে।