1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বিবাহিত নায়কের প্রেমে পড়ে পরিচালককে ছেড়ে হায়দরাবাদ চলে যান তাবু

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩
  • ৯০ বার পঠিত

বিনোদন ডেস্ক : ১৯৯০ সালের ১০ মে। দুই বলিউড তারকার বিয়ে ঘিরে সানাই বেজে উঠেছিল বলিপাড়ায়। প্রযোজক ও পরিচালক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী দিব্যা ভারতী। সাজিদ ও দিব্যার বিবাহিত জীবন একবছরও অতিবাহিত হয়নি। বিয়ের মাত্র দশ মাস পরই বাড়ির পাঁচতলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় অভিনেত্রীর। এতে ভীষণ ভেঙে পড়েন পরিচালক। সময় নিয়ে ধীরে ধীরে কাজে ব্যস্ত হয়ে উঠেন তিনি।

এদিকে প্রয়াত স্ত্রী দিব্যার কাছের বান্ধবী হওয়ার জন্য আগে থেকেই পরিচালক সাজিদকে চিনতেন অভিনেত্রী তাবু। বান্ধবী দিব্যার মৃত্যুর পর সাজিদের সঙ্গে একটি সিনেমা করেন তাবু। ‘জিৎ’ সিনেমায় কাজ করেছিলেন। শুটিংয়ের অবসরে নিজের সুখ-দুঃখের কথা বলতেন সাজিদ। এভাবে নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব বেশ গভীর হতে থাকে। একসময় দেখা যায় নিজের অজান্তেই অভিনেত্রীকে ভালোবেসে ফেলেছেন সাজিদ।

অনুভূতির কথা স্ত্রীর বান্ধবীকে জানিয়ে সাজিদ বলেছিলেন, ‘তুমি আমার সঙ্গে থাকতে চাইলে আমার জীবনের দ্বিতীয় নারী, দ্বিতীয় প্রেম হয়ে থাকতে হবে। আমি দিব্যাকে কখনো ভুলতে পারব না। সেই আমার জীবনের প্রথম নারীর আসনে থাকবে।’ আর পরিচালকের এ কথায় কোনো আপত্তি জানাননি তাবু।

এ অভিনেত্রীর সঙ্গে মেলামেশা আরও বাড়তে থাকে সাজিদের। বলিপাড়ায় গুঞ্জন রয়েছে, গোপনে নাকি আংটিবদলও করেছিলেন তারা। দু’জন নিজেদের মধ্যকার এ সম্পর্কের কথা গোপন রাখতে চেয়েছিলেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর ফের অন্য অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর কথা প্রকাশ হলে সাজিদ কটাক্ষের মুখে পড়বেন বলে মনে করেছিলেন তাবু ও পরিচালক।

অভিনেত্রীও পরিচালকের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কখনো কিছু জানাননি। কিন্তু একবার এক রেডিও শোয়ে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে সাজিদের সঙ্গে সম্পর্কের কথা বলে ফেলে তাবু। তারপর সাজিদ সিদ্ধান্ত নেন, তাবুকে বিয়ে করবেন। কিন্তু এ প্রস্তাব নাকোচ করে দেন অভিনেত্রী।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, বলি তারকা তাবু মুম্বাই ছেড়ে হায়দরাবাদে চলে যান। পরে নির্মাতা জানতে পারেন, তাদের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি প্রবেশ করায় তার থেকে দূরে চলে গেছেন অভিনেত্রী। আর এই তৃতীয় ব্যক্তি অন্য কেউ নয়, দক্ষিণী অভিনেতা নাগার্জুন।

১৯৯৮ সালে মুক্তি পায় রোমান্টিক কমেডি ধাঁচের তেলেগু সিনেমা ‘আভিড়া মা আভিড়ে’। এই সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে তাবুর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান নাগার্জুন। এরপর পরিচালক সাজিদের থেকে মন সরে যায় তাবুর। দক্ষিণী অভিনেতার সঙ্গে বেশি সময় কাটানোর জন্য হায়দরাবাদে চলে যান তিনি। গুঞ্জন রয়েছে, সেখানে নিজের বাড়ির কাছে তাবুর জন্য বাড়ি কিনেছিলেন নাগার্জুন।

২০০০ সালে তাবু ও নাগার্জুনকে একসঙ্গে দেখা যায়। সেই সময় ইন্ডাস্ট্রির অনেকে মনে করেছিলেন, স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর এ অভিনেত্রীকে বিয়ে করবেন দক্ষিণী তারকা। তাবুও এমনটাই মনে করেছিলেন। কিন্তু নাগার্জুনের সঙ্গে সংসার করার স্বপ্ন ভেঙে যায় তার। দশ বছরের বেশি সময় ধরে এ অভিনেতার সঙ্গে সম্পর্কে থাকায় অভিনেত্রী বুঝতে পারেন, নাগার্জুনের পক্ষে বিয়েবিচ্ছেদ সম্ভব নয়। ২০১২ সালে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ইতি টেনে ফের মুম্বাই ফেরেন নায়িকা।

তাবু মুম্বাই ফেরার পর ফের ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অন্যদিকে এক সাংবাদিকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ফেলেন পরিচালক সাজিদ। জীবন থেকে তাবু চলে যাওয়ার পর ওয়ার্দা খান নামে এক সাংবাদিকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। ওই সাংবাদিক প্রেম নিবেদন করেন। পরে ২০০০ সালে ওয়ার্দাকে বিয়ে করেন সাজিদ।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..