মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট::‘এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ।’ ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ। বৈশাখকে সাজাতে রাঙাতে ফুলেরা ফোটছে। আর ফুল চাষীরা ফুলপ্রেমীদের ফুলের যোগান দিতে প্রস্তুত। রঙের বৈচিত্র্যময়তায় পুষ্পপ্রেমীদের পছন্দের শীর্ষে গোলাপ ফুল। বাহারি রঙ, রূপ আর গন্ধ এসব যেন গোলাপকেই মানায়। ফুলের রাজ্যে তাইতো গোলাপ পেয়েছে রাণীর আসন।
ঢাকা জেলার সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাদুল্লাপুর ফুল চাষের জন্য বিখ্যাত। বিচিত্র রঙের ফুলের সমারোহে গোলাপের প্রাধান্য থাকায় দর্শনার্থীদের কাছে সাদুল্লাপুর গোলাপগ্রাম নামেই অধিক পরিচিত।
বাংলা নববর্ষকে ঘিরে ফুলের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুলচাষীরা। ফুল চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফুল বাগানকে পুঁজি করেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। তাই বাংলা সংস্কৃতিতে কোন উৎসব এলেই তাদের কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায়। গোলাপগ্রামে সাদা, লাল, হলুদ রঙের গোলাপ; এমনকি কালো রঙের গোলাপেরও দেখা মিলবে। এছাড়াও রজনীগন্ধা, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, ডালিয়াসহ বাহারি ফুলের চাষ হয় এখানে।
কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ফুলের ফসল কবিতায় বলেছেন, ‘জোটে যদি মোটে একটি পয়সা খাদ্য কিনিয়ো ক্ষুধার লাগি’ দুটি যদি জোটে অর্ধেকে তার ফুল কিনে নিয়ো, হে অনুরাগী!’
সাভার থেকে রাজাশন হয়ে গোলাপ গ্রামে যাবার পথে চোখে পড়বে খিষ্ট্রান ধর্মাবলম্বীদের জন-জীবন। যা রাজাশনের খ্রিষ্টান পল্লী নামে পরিচিত। যেখানে গড়ে উঠেছে ধর্ম চর্চার জন্য গির্জা। খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় বিষয়ে পরিচিত হবার সুযোগ পাবেন এই উপাসনালয়ে। পিচঢালা সড়ক ধরে যেতে যেতে গ্রামীণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।
সত্যিই অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা এই গোলাপগ্রাম। সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা আমাদের এ বাংলাদেশে এমনই সৌন্দর্যের পশরা সাজিয়ে আপনার অপেক্ষায় কতশত গ্রাম। রবি ঠাকুর গেয়েছেন, “গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ আমার মন ভুলায় রে।” তাইতো রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ লিখেছেন, “বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর।’