সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট::ইউনিসেফ বলছে, এই অঞ্চলে ২৯০ মিলিয়ন বাল্যবধূ রয়েছে, যা বিশ্বের ৪৫ শতাংশ। ইউনিসেফের পরিসংখ্যান অনুসারে, কোভিড-১৯ মহামারিতে আর্থিক চাপ বাড়া এবং স্কুল বন্ধের কারণে পরিবারগুলোকে তাদের অল্পবয়সী কন্যাদের বিয়ে দিতে বাধ্য করেছে। এজন্যই দক্ষিণ এশিয়া হয়ে উঠেছে বিশ্বের সর্বাধিক সংখ্যক শিশু পাত্রীর আবাসস্থল। আল-জাজিরা
ইউনিসেফের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক নোয়ালা স্কিনার বলেছেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বাল্যবিবাহ হয়ে থাকে, তা দুঃখজনক কিছু নয়।’
তিনি বলেন, ‘বাল্যবিবাহ মেয়েদের পড়ালেখা বন্ধ করে দেয়, তাদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে এবং তাদের ভবিষ্যৎকে নস্যাৎ করে।’
বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপাল সহ ১৬টি স্থানে সাক্ষাৎকার ও আলোচনার ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়েছে ইউনিসেফের এই পরিসংখ্যান। তাতে বলা হয়েছে, কোভিড লকডাউনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক অভিভাবকই বিয়েকেই সেরা বিকল্প বিবেচনা করেছেন।
নেপালে মেয়েদের বিয়ের বয়স স্থির করা আছে ২০ বছর। কিন্তু বাংলাদেশ, ভারত এবং শ্রীলংকায় ১৮ বছর হলেও আফগানিস্তানে তা স্থির করা হয়েছে ১৬ বছর। পাকিস্তানের তিন প্রদেশে বিয়ের বয়স ১৬ স্থির করা থাকলেও সিন্ধু প্রদেশে ১৮ বছরের আগে বিয়ে হতে পারবে না।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, মহামারির সময় পারিবারিক ব্যয় কমিয়ে আনার জন্যও অনেক পিতামাতা কিশোরী মেয়েদের বিয়ে দেওয়াটাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক বিজর্ন অ্যান্ডারসন, ‘আমাদের অবশ্যই আরও বেশি কাজ করতে হবে এবং মেয়েদেরকে শিক্ষার মাধ্যমে ক্ষমতায়নে অংশীদারিত্ব জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি মেয়েদেরকে সুদক্ষ করে তুলতে হবে। এই সংকট মোকাবিলায় সকল সম্প্রদায়কে সমবেতভাবে কাজ করে যেতে হবে।’