শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট: ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শেষ, তাদের পেছনে আজরাইল দাঁড়িয়ে আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে ফখরুল এসব বলেন।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সাজা বহাল রেখে যে রায় হয়েছে তার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায়, এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার মাধ্যমে। এভাবেই নেতাদের কারাগারে রেখে নির্বাচনে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় আওয়ামী লীগ। কিন্তু তাদের সেই আশায় গুড়ে বালি, মানুষ জেগে উঠেছে। নেতাদের সাজা দিয়ে জনগণের আন্দোলন দমানো যাবে না।
ফখরুল বলেন, আজকে সরকারের অপকর্ম সারাবিশ্ব অবগত। এরা এই বাঙালি জাতিকে বিশ্বের বুকে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। আমেরিকার ভিসা নীতি কেন? কই আর কোনো রাষ্ট্রের জন্যতো এই ভিসা নীতি হয়নি। কারণ, এদেশে গণতন্ত্র নেই, বাকস্বাধীনতা নেই। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার বাজেটের নামে মশকরা করছে দেশের মানুশের সঙ্গে, এটা গরীব মারার বাজেট।
সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখোনো সময় আছে, ক্ষমতা ছেড়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। অনেক অত্যাচার অবিচার করেছেন। মেঘা প্রজেক্টের নামে মেঘাদুর্ণীতি করেছেন। এবার জনগণকে রেহাই দেন। হাইকোর্টও প্রভাব মুক্ত নয় মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। পালানোর পথ পাবে না আওয়ামী লীগ।স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘৪/৫ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দেবেন মহাসচিব।’ তিনি বলেন, সরকার মরণকামড় দেবে টিকে থাকতে। আমরাও মরণকামড় দেবো তাদেরকে বিদায় করতে।
গয়েশ্বর বলেন, ভারত এবং প্রশাসনের মধ্যে কিছু দুর্নীতিবাজ চায় এই সরকার আজীবন থাকুক। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আন্দোলন এবং নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার এবং জেলে পাঠানো হচ্ছে। আমির খসরু বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ভোট চুরির বিরুদ্ধে। আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্র করতে হবে।
প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, এটা হলো গরীব মারার বাজেট। তিনি বলেন, ‘আমান- টুকুর মতো একই মামলা থাকলেও আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জেলে দিয়ে খালি মাঠে গোল দিতে চায় আওয়ামী লীগ।
সালাম বলেন,আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করেও আগামী নির্বাচন তাদের মন মতো করতে পারবে না বুঝতে পেরে এখন নির্বাচন যাতে না হয় সেই চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় দলের বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক শরাফত আলী সপু, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনম সাইফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।