9:20 am, Friday, 14 November 2025

নিয়মবহির্ভূত ইজারা দেওয়ার অভিযোগে ইউএনওকে শোকজ

নিয়মবহির্ভূত খেয়াঘাট ইজারা দেওয়ার অভিযোগে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া আফরিনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক সোহেল রানা এ আদেশ দেন। শাহজাদপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার আমিরুল মোমেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জাগো নিউজকে তিনি বলেন, শাহজাদপুর উপজেলার গুপিয়াখালী গ্রামের মাজাহার আলী মোল্লার ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক মামলার পর আদালত এ আদেশ দেন। খেয়াঘাটের ইজারা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে শোকজ নোটিশের জবাব দিতে বলেছেন আদালত। একই সঙ্গে অভিযোগের আপত্তি শুনানি পর্যন্ত ওই খেয়াঘাটের ইজারা কার্যক্রম স্থগিতের আদেশও দিয়েছেন। শোকজপ্রাপ্ত আরেকজন হলেন ওই উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম মাঝি। তিনি ইজারা কার্যক্রমের দ্বিতীয় করদাতা।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন বলেন, আবু বক্কার সিদ্দিক ২০১৭ সাল থেকে এ যাবত সুনামের সঙ্গে ওই ঘাট পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু বাংলা ১৪৩০ সালের ইজারা বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলে ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার ড্র হয়। তিনি ওই দিন বিজ্ঞপ্তির সব শর্ত মেনে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা দরপত্র দাখিল করে প্রথম দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হন। অপরদিকে ভাটপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম মাঝি ১২ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকা দরপত্র দাখিল করে দ্বিতীয় দরদাতা হিসেবে গণ্য হন। এরপরও শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন নিয়ম অমান্য করে দ্বিতীয় দরদাতাকে ঘাট ইজারা দেন। এতে সরকার ১ লাখ ৯০ হাজার ১ টাকা রাজস্ব হারিয়েছে। একই সঙ্গে আবু বক্কর সিদ্দিকও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ফলে তিনি বাধ্য হয়ে ন্যায়বিচার প্রাপ্তির জন্য ১২ এপ্রিল আদালতে এ মামলা করেন। এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিনের মোবাইল নম্বরে কল দিলে রিসিভ করেননি।

 

Tag :
About Author Information

Sirajul Islam

ভারতীয় ভারপ্রাপ্ত সহকারী হাইকমিশনার  চাতলাপুর  স্থল শুল্ক স্টেশন ব্যবসাযীদের সাথে মত বিনিময় 

নিয়মবহির্ভূত ইজারা দেওয়ার অভিযোগে ইউএনওকে শোকজ

Update Time : 09:11:08 am, Friday, 14 April 2023

নিয়মবহির্ভূত খেয়াঘাট ইজারা দেওয়ার অভিযোগে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া আফরিনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক সোহেল রানা এ আদেশ দেন। শাহজাদপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার আমিরুল মোমেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জাগো নিউজকে তিনি বলেন, শাহজাদপুর উপজেলার গুপিয়াখালী গ্রামের মাজাহার আলী মোল্লার ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক মামলার পর আদালত এ আদেশ দেন। খেয়াঘাটের ইজারা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে শোকজ নোটিশের জবাব দিতে বলেছেন আদালত। একই সঙ্গে অভিযোগের আপত্তি শুনানি পর্যন্ত ওই খেয়াঘাটের ইজারা কার্যক্রম স্থগিতের আদেশও দিয়েছেন। শোকজপ্রাপ্ত আরেকজন হলেন ওই উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম মাঝি। তিনি ইজারা কার্যক্রমের দ্বিতীয় করদাতা।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন বলেন, আবু বক্কার সিদ্দিক ২০১৭ সাল থেকে এ যাবত সুনামের সঙ্গে ওই ঘাট পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু বাংলা ১৪৩০ সালের ইজারা বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলে ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার ড্র হয়। তিনি ওই দিন বিজ্ঞপ্তির সব শর্ত মেনে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা দরপত্র দাখিল করে প্রথম দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হন। অপরদিকে ভাটপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম মাঝি ১২ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকা দরপত্র দাখিল করে দ্বিতীয় দরদাতা হিসেবে গণ্য হন। এরপরও শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন নিয়ম অমান্য করে দ্বিতীয় দরদাতাকে ঘাট ইজারা দেন। এতে সরকার ১ লাখ ৯০ হাজার ১ টাকা রাজস্ব হারিয়েছে। একই সঙ্গে আবু বক্কর সিদ্দিকও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ফলে তিনি বাধ্য হয়ে ন্যায়বিচার প্রাপ্তির জন্য ১২ এপ্রিল আদালতে এ মামলা করেন। এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিনের মোবাইল নম্বরে কল দিলে রিসিভ করেননি।