11:59 pm, Thursday, 13 November 2025

২৯ পণ্যের মূল্য বেঁধে দেওয়া অর্থহীন-অযৌক্তিক

ডেস্ক রিপোর্ট :সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে খুচরা পর্যায়ে ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়াকে অবিবেচনা, অসার, অর্থহীন ও কল্পনাপ্রসূত আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। একই সঙ্গে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকেই নির্ধারণ করা দেওয়া পণ্যগুলো বিক্রি করার দাবি জানিয়েছে সমিতি।

আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দোকান মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন। এ সময় মহাসচিব জহিরুল হক ভুইয়াসহ অন্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে খুচরা বাজারে মাছ, মাংস, ডিম, ডাল ও সবজির মতো ২৯টি পণ্যের খুচরা পর্যায়ে মূল্যনির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। রোজার শুরুতেই খেজুর ও চিনির দাম নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি কেজি অতি সাধারণ মানের খেজুরের ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা ও প্রতি কেজি চিনির মূল্য ১৪০ টাকা নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়।

সংবাদ সম্মেলনে হেলাল উদ্দিন বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া যায় না। এখন ২৯ পণ্যের দর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা এ দামে এসব পণ্যগুলোকে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক বিক্রয়ের অনুরোধ জানায়। একই সঙ্গে পণ্যগুলোর বিক্রিত লাভ দিয়ে কর্মকর্তারা বেতন নেবেন। হয় তাদের বেঁধে দেওয়া দামে কৃষি বিপণনকে বিক্রি করতে হবে, না হলে এ প্রজ্ঞাপন স্থগিত করতে হবে। আমরা এ দামে বিক্রি করতে পারবো না। দাম বেঁধে দেওয়াটা অযৌক্তিক-অবাস্তব ও অর্থহীন।

হেলাল উদ্দিন বলেন, ক্রেতার সন্তুষ্টিই বিক্রেতার কাম্য। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় এ শ্রেণির ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম ভোক্তার নাগালের মধ্যে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর নিকট ৭ দফা দাবি পেশ করছি।

দোকান মালিক সমিতির দাবির মধ্যে রয়েছে-

২৯ পণ্যের মূল্যনির্ধারণ অবিবেচনা, অসার, অর্থহীন ও কল্পনাপ্রসূত। তাই এখনই প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত করতে হাবে। অন্যথায় ব্যবসা বন্ধ করা ছাড়া আমাদের উপায় থাকবে না।

বিভিন্ন পণ্যের আমদানি ও উৎপাদনের সঠিক পরিসংখ্যান নিশ্চিত করতে হবে।

টিসিবির সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রাথমিকভাবে পণ্য আমদানি করে বিপননের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে বােঝা যাবে ব্যক্তি খাতের সঙ্গে সরকারি খাতের পার্থক্য কত।

বাজার ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজাতে হবে। নিত্যগ্রয়ােজনীয় ভোগ্যপণ্য একই মন্ত্রনালয়ের অধীনে নিয়ে আসতে হবে।

বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পর্যান্ত সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংস্থার চাপমুক্ত অবস্থায় ব্যবসা করার সুযােগ দিতে হবে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় ভােগ্য পণ্যের ওপর আরোপিত সকল প্রকার ট্যাক্স ভ্যাট কমিয়ে সহনশীল পর্যায়ে আনতে হবে।

Tag :
About Author Information

Sirajul Islam

ভারতীয় ভারপ্রাপ্ত সহকারী হাইকমিশনার  চাতলাপুর  স্থল শুল্ক স্টেশন ব্যবসাযীদের সাথে মত বিনিময় 

২৯ পণ্যের মূল্য বেঁধে দেওয়া অর্থহীন-অযৌক্তিক

Update Time : 10:20:57 am, Tuesday, 19 March 2024

ডেস্ক রিপোর্ট :সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে খুচরা পর্যায়ে ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়াকে অবিবেচনা, অসার, অর্থহীন ও কল্পনাপ্রসূত আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। একই সঙ্গে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকেই নির্ধারণ করা দেওয়া পণ্যগুলো বিক্রি করার দাবি জানিয়েছে সমিতি।

আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দোকান মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন। এ সময় মহাসচিব জহিরুল হক ভুইয়াসহ অন্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে খুচরা বাজারে মাছ, মাংস, ডিম, ডাল ও সবজির মতো ২৯টি পণ্যের খুচরা পর্যায়ে মূল্যনির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। রোজার শুরুতেই খেজুর ও চিনির দাম নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি কেজি অতি সাধারণ মানের খেজুরের ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা ও প্রতি কেজি চিনির মূল্য ১৪০ টাকা নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়।

সংবাদ সম্মেলনে হেলাল উদ্দিন বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া যায় না। এখন ২৯ পণ্যের দর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা এ দামে এসব পণ্যগুলোকে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক বিক্রয়ের অনুরোধ জানায়। একই সঙ্গে পণ্যগুলোর বিক্রিত লাভ দিয়ে কর্মকর্তারা বেতন নেবেন। হয় তাদের বেঁধে দেওয়া দামে কৃষি বিপণনকে বিক্রি করতে হবে, না হলে এ প্রজ্ঞাপন স্থগিত করতে হবে। আমরা এ দামে বিক্রি করতে পারবো না। দাম বেঁধে দেওয়াটা অযৌক্তিক-অবাস্তব ও অর্থহীন।

হেলাল উদ্দিন বলেন, ক্রেতার সন্তুষ্টিই বিক্রেতার কাম্য। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় এ শ্রেণির ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম ভোক্তার নাগালের মধ্যে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর নিকট ৭ দফা দাবি পেশ করছি।

দোকান মালিক সমিতির দাবির মধ্যে রয়েছে-

২৯ পণ্যের মূল্যনির্ধারণ অবিবেচনা, অসার, অর্থহীন ও কল্পনাপ্রসূত। তাই এখনই প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত করতে হাবে। অন্যথায় ব্যবসা বন্ধ করা ছাড়া আমাদের উপায় থাকবে না।

বিভিন্ন পণ্যের আমদানি ও উৎপাদনের সঠিক পরিসংখ্যান নিশ্চিত করতে হবে।

টিসিবির সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রাথমিকভাবে পণ্য আমদানি করে বিপননের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে বােঝা যাবে ব্যক্তি খাতের সঙ্গে সরকারি খাতের পার্থক্য কত।

বাজার ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজাতে হবে। নিত্যগ্রয়ােজনীয় ভোগ্যপণ্য একই মন্ত্রনালয়ের অধীনে নিয়ে আসতে হবে।

বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পর্যান্ত সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংস্থার চাপমুক্ত অবস্থায় ব্যবসা করার সুযােগ দিতে হবে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় ভােগ্য পণ্যের ওপর আরোপিত সকল প্রকার ট্যাক্স ভ্যাট কমিয়ে সহনশীল পর্যায়ে আনতে হবে।