বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
অর্জুন দেবনাথ : মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ভাষানীগাঁও গ্রামে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১৬ জুন বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় মেয়ের বসত গৃহে মেলামেশা করতে গিয়ে সৎ মায়ের হাতে ধরা পড়লে ছেলেটি পালিয়ে যায়।
অভিযোগকারী কিশোরীর ভাষ্য মতে জানা যায়, ভাষানীগাঁও গ্রামের সালাত মিয়ার মেয়ে সুমা ছদ্মনাম (১৭) কিশোরী সৎ মা সহ একই বাড়ীতে অবস্থান করছেন। এরই মধ্যে পাশের বাড়ীর প্রবাসী আখের মিয়ার ছেলে রনি মিয়া (২২) ৪/৫ মাসে পূর্বে প্রেমের প্রলোভন দিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। প্রেমের সম্পর্কের কারণে রনি বিয়ের প্রলোভন দিলে তার সাথে একাধিক বার অনিচ্ছা সত্তেও গোপনে দৈহিক মিলনে মিলিত হয় মেয়েটি। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে মেয়েটির মা অন্য ঘরে অবস্থান করাকালীন সময়ে গোপনে সালাত মিয়ার ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে রনি ঘরে প্রবেশ করে উভয়ে দৈহিক মিলনে লিপ্ত হয়। এ সময় মা শব্দ পেয়ে মেয়ের ঘরে অর্তকিত ভাবে প্রবেশ করে তাদেরকে এই অবস্থায় দেখে ছেলেকে ঝাঁপটে ধরার চেষ্টা করলে অভিযুক্ত রনি মেয়েটির মায়ের হাতে কামড় দিয়ে পরনে কাপড় ফেলে রেখেই পালিয়ে যায়। সাথে সাথে ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী অভিযুক্ত রনিকে আটকের চেষ্টা করলে রনি আড়ালে চলে যায়।
এদিকে কিশোরী মেয়ে এলাকাবাসীকে তার সাথে দীর্ঘ দিনের সর্ম্পকের কথা জানিয়ে বিয়ের দাবীতে রনির বাড়ীতে গিয়ে অবস্থান নেয়। পরে মাধবপুর ইউপি সদস্য মোতাহের আলী ঘটনা জানতে পেরে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে অভিযুক্তের বাড়ীতে যান। অভিযুক্তের বাড়ী থেকে বুঝিয়ে-সুজিয়ে মেয়েকে তার (সালাত মিয়ার) বাড়ীতে নিয়ে আসে।
ইউপি সদস্য মোতাহের আলী জানান, বিষয়টি সামাজিক ভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হলে ও অভিযুক্তের (রনির )পরিবার সম্মত না হওয়া মেয়ের পিতা সালাত মিয়া বাদি হয়ে কমলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৭ জুন বিকাল ৪টা পর্যন্ত মামলাটি এফ আই আর ভুক্ত হয়নি।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো:ইয়ারদৌস হাসান বলেন,এখনো আমার কাছে অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।