শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন
রাসেল আহমদ: বৃটেনের কার্ডিফ বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে কার্ডিফের জালালিয়া মসজিদে কমিউনিটির বিশিষ্টজন সহ প্রচুর লোকের উপস্থিতিতে ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে পারস্পরিক ভাতৃত্ব ও বিশ্ব মানবতার কল্যাণ কামনায়
১৩ ই মার্চ বৃহস্পতিবার এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর ট্রাষ্টি সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের অন্যতম ডিরেক্টর শেখ মোহাম্মদ আনোয়ার এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান ও বিশেষ অতিথি জালালিয়া মসজিদের ঈমাম ও খতীব মাওলানা আব্দুল মোক্তাদির, কমিউনিটি সংগঠক আলহাজ্ব লিয়াকত আলী, শাহ গোলাম কিবরিয়া ও আনসার মিয়া বক্তব্য রাখেন।
মসজিদ কমিটি ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে আয়োজিত উক্ত ইফতার মাহফিলে মুসলিম উম্মার সূখ শান্তি সমৃদ্ধি এবং কমিউনিটির উন্নয়ণে ওয়েলফেয়ার এর সমাজসেবামূলক কার্যক্রমের অগ্রগতির জন্য দোয়া পরিচালনা করেন আনজুমানে আল ইসলাহ ওয়েলস ডিভিশন এর প্রেসিডেন্ট হাফিজ মাওলানা ফারুক আহমেদ।
এই মহতী উদ্যোগের মাধ্যমে ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন কমিউনিটির মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সহমর্মিতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। রমজান মাস। দোয়া কবুলের মাস। নেকির ভান্ডার পূর্ণ করার মাস। এজন্য যেসব কাজ বা আমল করলে বেশি সাওয়াবের অধিকারী হওয়া যায় সেসব কাজে বা আমলে মনোনিবেশ করা প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর ট্রাষ্টি ও ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মকিস মনসুর সহ বক্তারা বলেন আমাদের প্রিয় বিশ্বনবী রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি এ মাসে কোন রোজাদারকে ইফতার করাবে, তা তার পাপমোচন ও দোযখ থেকে মুক্তির কারণ হবে। আর এতে সে ওই রোজাদারের ঘুম অথচ রোজাদের পুণ্য একটুও কমবে না।
জালালিয়া মসজিদের ঈমাম ও খতীব মাওলানা আব্দুল মোক্তাদির,বলেন, রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবান মাসের শেষদিন রমজান মাস সম্পর্কে সাহাবিদের কিছু নসিহত করেন। সেখানে তিনি এটাও বলেন, এ মাস সহমর্মিতার মাস। (শুআবুল ঈমান: ৩৩৩৬)। এর মাধ্যমে রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসে সহমর্মিতার প্রশিক্ষণ নেওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করছেন। অন্যের কষ্টে ব্যথিত হওয়ার জন্য উৎসাহিত করছেন মুমিনদের। তিনি যেন বলছেন, তোমরা যখন সাহরি বা ইফতার করবে, তখন খোঁজ নিও তোমার প্রতিবেশীর।
আনজুমানে আল ইসলাহ ওয়েলস ডিভিশন এর প্রেসিডেন্ট হাফিজ মাওলানা ফারুক আহমদ বলেন
হাদিসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি রমজান মাসে তার উপার্জিত হালাল রিজিক থেকে কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, ফেরেশতাগণ রমজান মাসের প্রত্যেক রাতে তার জন্য আল্লাহতায়ালার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করবেন। আর কদরের রাতে হজরত জিবরাইল (আ.) তার সাথে মোসাফাহা করবেন। আর যার সাথে হজরত জিবরাইল (আ.) মোসাফাহা করবেন তার অন্তর কাঠিন্যমুক্ত হবে এবং আল্লাহর ভয়ে কান্নার সময় তার অশ্রু বৃদ্ধি পাবে। (সহিহ্ ইবনে হিব্বান)।
বক্তারা রমজানে রোজাদারকে ইফতার করানো হলো মুমিনের বিশেষ আমল। এ বিশেষ আমলের বিনিময়ে মহান আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করে দেন বলে অভিমত ব্যাক্ত করেছেন।।