মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪০ অপরাহ্ন
মশাহিদ আহমদ: মৌলভীবাজারে দ্বিতীয় পর্যায়ে আজ একসঙ্গে ৬ শত ৫৭টি অসহায় পরিবারকে ঘর দিচ্ছে সরকার। ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশের ন্যায় দ্বিতীয় পর্যায়ে এসব পরিবারকে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে বিনামূল্যে সেমি পাকা ঘর দেওয়ার কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করবেন। সেখানে বিনামূল্যে সেমি পাকা ঘর নির্মানের পাশা পাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ ও মন্দির নির্মান করা হচ্ছে। সরবরাহকৃত ফোল্ডারে কবুলিয়ত, নামজারি খতিয়ান, সনদপত্র ও নামজারী ডিসিআর থাকবে। মৌলভীবাজার জেলায় ১ম পর্যায়ে ১১২৬টি এবং ২য় পর্যায়ে সংখ্যা ১১৫১টি সহ সর্বমোট বরাদ্দপ্রাপ্ত একক গৃহের সংখ্যা ২২৭৭টি। ২য় পর্যায়ের ১১৫১টির মধ্যে ৬৫৭টি ঘর। অবশিষ্ট ৪৯৪টি ঘর বন্দোবস্তযোগ্য খাসজমিতে মাটিভরাট করে নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণ কার্যক্রম শেষে ধারাবাহিকভাবে গৃহগুলো উপকারভোগীদের নিকট হস্তান্তর করা হবে। প্রতিটি পরিবারের অনুকূলে ২ শতাংশ করে খাসজমি বন্দোবস্ত প্রদান করা হচ্ছে এবং নির্মিত গৃহে ২টি কক্ষ, ১টি রান্নাঘর, ১টি ল্যাট্রিন ও ১টি স্টোর রুম রয়েছে। উল্লেখ্য- মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের মাইজদিহি এলাকায় পাহাড়ের উপর ৩০ একর সরকারি খাসজমি অবৈধ দখলকারদের নিকট থেকে উদ্ধার করে নির্মাণ করা হচ্ছে ৩০০ টি ঘর। যা ৩০০টি পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হলে প্রায় ১৫০০ জন মানুষ এখানে বসবাস করবে। এ প্রকল্পের ১৫৮টি ঘর উদ্বোধন যোগ্য এবং ২০০ জন উপকারভোগী ইতোমধ্যে নির্বাচন করা হয়েছে। প্রকল্প এলাকাটিতে ইন্টারনেট ও বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রদান করা হয়েছে এবং ৮টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। জেলা সদর ও উপজেলা সদর এর মধ্যবর্তী ¯’ানে এই প্রকল্পের অব¯’ান। উপজেলা সদর হতে প্রকল্প এলাকার দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। নিকটতম গ্রোথ সেন্টার উপজেলার ২য় বৃহত্তম ভৈরবগঞ্জ বাজার হতে দূরত্ব ১.২ কি.মি। সিলেট- শ্রীমঙ্গল হাইওয়ে থেকে প্রকল্পে যাতায়াতের জন্য দুই দিক থেকে পাকা ও কাচা রাস্তার সংযোগ রয়েছে। প্রকল্পটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর “আমার গ্রাম আমার শহর” ধারণার প্রতিফলন। গত ১৮ জুন সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মৌলভীবাজার অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক মেহদী আহসান, অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মলিকা দে, অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তানিয়া সুলতানা, সদর উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা সাবরিনা রহমান, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব ও মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখেন— কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। সে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে আমরা কাজ করছি। প্রতিটির জন্য ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা বাজেট ধরে প্রশাসন ঘরগুলো নির্মাণ করছে।