শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:২০ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: নদীর নাব্যতা রক্ষা, দূষণ ও দখলরোধে জেলা প্রশাসকদের তৎপর হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের একটি অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীগুলোয় যেন নাব্যতা থাকে, নদীদূষণ এবং দখলের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য জেলা প্রশাসকদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। কারণ আমাদের নদী রক্ষার যে জেলা কমিটি, সেটার সভাপতি জেলা প্রশাসক। তারা ইতোমধ্যে অনেক ভূমিকা রাখছেন এবং এগুলো আরও জোরদার করার জন্য বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের মধ্য দিয়ে নদীর নাব্যতা নষ্ট হয়ে যায় এবং আমাদের নৌপথগুলোতে বিঘ্নতা তৈরি হয়। এগুলো সঠিকভাবে মনিটরিং করার জন্য জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে।
স্থলবন্দরগুলোয় অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নজরদারি আরও জোরদার করার জন্যও ডিসিদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমাদের স্থলবন্দর যেগুলো আছে, যেহেতু সেখানে পণ্য আমদানি-রফতানি হয়, সে জায়গায় কোনো ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড যাতে না হয়, সেজন্য জেলা প্রশাসনের নজরদারি আছে, তারা রাখছেন। তার পরও এটা জোরদার করার জন্য আমরা বলেছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সার্বিকভাবে আমাদের যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে, মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থাগুলোর মাধ্যমে, এগুলো তাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাব ছিল কিনা- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় যে মানুষগুলো আছে, যেমন হাতিয়া, ভোলা, এসব নদী বন্দরগুলোর আরও উন্নয়ন করা এবং যাত্রীবান্ধব করা। সেগুলোর ব্যাপারে আমরা ইতোমধ্যে প্রকল্প গ্রহণ করেছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে নৌদুর্ঘটনা বাড়েনি, কয়েকটি বড়-বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। নৌদুর্ঘটনা কমে গেছে।
তিনি বলেন, নৌ সেক্টরে দীর্ঘদিন ধরে একটা অচলাবস্থা, অনিয়ম হয়ে আসছে। এটা এতবড় একটা সেক্টর, একবারেই পরিবর্তন সম্ভব নয়। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এ সেক্টরকে নিরাপদ করা।