1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪০ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

সেই মৌসুমী ও তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২১ মার্চ, ২০২২
  • ৪৯০ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : মেয়েকে বিয়ে দিয়ে মামলা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই নেশা ছিল মুনিম দম্পতির। মাঝে মৌসুমী।
একাধিক বিয়ে প্রতারণায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সিলেটের মেয়ে শারমীন সুরভী মৌসুমী ও তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

চলতি মাসের বুধবার (১৬ মার্চ) সিলেটের একটি আদালত থেকে তাদের বিরুদ্ধে পুন:গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে তামিলের জন্য সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। এর আগে ১৩ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মৌসুমী ছাড়াও পরোয়ানাভুক্ত তার বাবা সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট চুনাহাটি গ্রামের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রফিকুর আর এম এ মুনিম (৫০) ও স্ত্রী ইমামা বেগম (৪৫)। মেয়েকে বিয়ে দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার মামলা তাদের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

আদালত সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে মৌসুমী ও তার বাবা-মাকে অভিযুক্ত করে একটি দরখাস্ত মামলা (সিআর নং-১১/২০২১) হয়। মামলাটি দায়ের করেন মৌসুমীর ২য় স্বামী সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর দক্ষিণভাগের আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে নগরের হাউজিং এস্টেট ৫৬ নম্বর বাসার বাসিন্দা জাকের আহমদ।

আদালতের নির্দেশে তদন্তপূর্বক এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ মামলাটি (নং-৭(২)২১) রেকর্ড করে। এজাহারে বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রতারণার মাধ্যমে পূর্ববর্তী বিয়ের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনেন ভুক্তভোগী জাকের আহমদ।

তদন্তেও সত্যতা প্রমাণিত হয়। ফলে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর সিলেট এয়ারপোর্ট থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সিকন্দর আলী আদালতে অভিযোগপত্র (৪৩৯) দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে মৌসুমী ও তার বাবা-মাকে অভিযুক্ত করেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলকভাবে ১৫ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কারের স্থলে এক লাখ টাকা পরিশোধ দেখানো এবং ২০ লাখ টাকার মুয়াজ্জল দেখিয়ে নিকাহনামা সম্পাদন করে প্রতারণার অভিযোগের প্রমাণ পান।

অভিযোগপত্রের স্বপক্ষে মতামত দেন আদালতের পিপি। মামলায় জব্দকৃত আলামতের মধ্যে মৌসুমী কর্তৃক প্রথম স্বামী ডা. মো. ফরিদ আহমদের সঙ্গে বিয়ের কাবিননামা ও অর্থ-আত্মসাত কল্পে প্রতারণাপূর্বক তার বিরুদ্ধে দায়েরী পরিবারিক মামলার তথ্য-প্রমাণও উপস্থাপন করেন আদালতে। ফলে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র আরও জানায়, প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সুন্দরী মেয়েকে বিয়ে অতঃপর বিচ্ছেদ ঘটিয়ে মামলার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পরিবারটির বিরুদ্ধে। তাদের এমন ভয়ঙ্কর প্রতারণার শিকার হয়েছেন চিকিৎসক ও প্রবাসী যুবক।

মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলা দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়াই যেন নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রফিকুর আর এম এ মুনিম দম্পতির। আমেরিকান মৌসুমীর প্রতারণায় স্বপ্নের সমাধি হয়েছে অনেক যুবকের। খেসারত দিতে হয়েছে মামলার ঘানি টেনে। যেমনটি হয়েছে যুবক জাকের আহমদ ও ডা. ফরিদের বেলায়।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..