রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০২:০৭ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: তেল, গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকাসহ সারাদেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা আধাবেলা হরতাল শেষ হয়েছে। সোমবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া হরতাল চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। তবে হরতালে রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকাতেই যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
হরতালে পিকেটিংয়ের অংশ হিসেবে এদিন ভোর থেকেই রাজধানীর পুরানা পল্টন, প্রেসক্লাব, মিরপুর, মুহাম্মদপুর, শাহবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় জোটের নেতারা অবস্থান নিয়েছিলেন। এছাড়াও বাম দলগুলোর সহযোগী ছাত্র সংগঠনগুলোও রাজপথে অবস্থান নেয়। পল্টন ময়দানে সকাল ৬টা থেকেই বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা অবস্থান নিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে সরকারের সমালোচনামূলক বক্তব্য দিতে থাকে। এসময় পুলিশ তাদের ঘেরাও করে রেখে পুরোটা সময় পরিস্থিতি শান্ত রাখে। তবে বেলা ১১টা ২৬ মিনিটে ছাত্র ইউনিয়নের একটি মিছিল পল্টন মোড়ে আসলে পরিস্থিতি উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তখন পুলিশ লাঠিচার্জ ও জলকামান ছিটিয়ে নেতাকর্মীদের পল্টন মোড় থেকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করেও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন নেতাকর্মীরা।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জে সকাল সাড়ে ৬টায় চাষাঢ়া গোলচত্বরে বামজোটের মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। এতে সেখানে কমপক্ষে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বামজোট।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি শাহজামান বলেন, তারা (হরতালকারীরা) ককটেল ফাটিয়ে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে পুলিশ তো দাঁড়িয়ে থাকবে না। মিছিলে বিকট শব্দের পর ধোয়া উড়তে দেখে আমরা তাদের বাধা দিয়েছি। লাঠিচার্জের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ককটেল ফাটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোট নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক ও বাসদ জেলার আহ্বায়ক নিখিল দাস।
তিনি বলেন, পুলিশ নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করছে।
এদিকে, ভোর ৬টা থেকে হরতাল শুরু হলেও রাজশাহীতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। বাস, ট্রেন ও অন্যান্য গণপরিবহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। দোকান, বিপনী বিতান, শপিংমল খুলতে শুরু করেছে।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করছিলাম। পুলিশ বিনা উসকানিতে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে। জলকামান ও টিয়ার শেল ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশের হামলায় আমাদের বেশকিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আজকের এ জঘন্য পুলিশি হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ডাকা হয়েছে।