বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: টানা ভারি বৃষ্টি এবং উজানের পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট-সুনামগঞ্জের পর বাড়তে শুরু করেছে মৌলভীবাজারে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। মনু নদের পানি বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করায় গতকাল রাত থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ এবং স্থানীয় জনগণ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজারে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।
সোমবার (২০ জুন) দুপুর বারোটার দিকে মনু নদের পানি পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন।
নদী তীরবর্তী চাঁদনীঘাট ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক জানান, মৌলভীবাজারে গত তিন দিনের টানা বৃষ্টির কারণে মনু নদের পানি বেড়েছে। বড়লেখার ১০ টি, জুড়ী উপজেলায় ২ টি এবং রাজনগর উপজেলায় ২টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। গতকাল থেকে মনু নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গতকাল রাত থেকেই আমরা দুশ্চিন্তায় ছিলাম মনু নিয়ে। আমরা ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ জনগণকে সতর্ক করার জন্য ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মনু নদের পানি বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করায় প্রশাসনের নির্দেশনায় বালু ভর্তি বস্তা দিয়ে মনুর পাড়ে ব্যারিকেড দেয়া হচ্ছে। মনু নদের উত্তর পাড়ে চাঁদনীঘাটের কিছু নিচু এলাকায় পানি প্রবেশ করায় আশঙ্কায় আছেন তারা।
মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান আতঙ্কিত না হবার জন্য আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা সর্বক্ষণ মনু নদের দিকে নজর রাখছি। কালকেও সারা রাত সজাগ ছিলাম। কারও আতঙ্কিত হবার মতো কিছু এখনো হয়নি। মৌলভীবাজার শহরে এবছর বন্যা হবার কোনও সম্ভাবনা নেই।
মৌলভীবাজারে ২০১৮ সালে হওয়া বন্যার কথা উল্লেখ করে পৌর মেয়র বলেন, ২০১৮ সালের বন্যার পানি যে উচ্চতা ছিলো সেই উচ্চতা থেকে এখনো মনু নদের পানি পাঁচ ফুট নিচে রয়েছে। সুতরাং, বন্যা নিয়ে কেউ আতঙ্কিত হবেন না।
মনু নদীর অবস্থা পরিদর্শনে এদিন আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার, মোহাম্মদ জাকারিয়া, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কে এম জহুরুল হক, এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হাসান মোহাম্মদ নাসের রিকাবদার।