রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৭ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: বাঙালির গর্বের প্রতীক পদ্মা সেতুর উদ্বোধন আজ শনিবার (২৫ জুন)। সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে। এরপর দুপুর ১২টায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাংলাবাজার ফেরিঘাটে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুরে জনসভা শুরু হওয়ার সময় নির্ধারণ করা আছে। কিন্তু ভোর থেকেই দেশের দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসতে শুরু করেছে সভাস্থলে।
জানা গেছে, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, বরিশাল, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী থেকে বাস ও লঞ্চযোগে জনসভাস্থলে আসছে মানুষ।
বরিশাল থেকে লঞ্চে করে এসেছেন আমিন মিয়া নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হচ্ছে, এটি আমাদের জন্য খুশির খবর। এখানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে আসলাম।
পটুয়াখালী থেকে আসা নুরুল নামের আরেক কর্মী বলেন, ইতিহাস রচিত হচ্ছে আজ। এখানে ইতিহাসের সাক্ষী হতে এসেছি।
সরেজমিনে দেখা যায়, পদ্মা সেতুর আদলে মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। সভাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি রয়েছে।
জনসভাস্থলে কয়েকটি অস্থায়ী হাসপাতাল, সাড়ে পাঁচ শতাধিক শৌচাগার স্থাপন করা হয়েছে। সুপেয় পানির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। ওয়াচ টাওয়ার থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ব্যানার, পোস্টার আর বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে রাস্তাঘাট, হাটবাজার আর অলিগলি। বিভিন্ন সড়কের ডিভাইডার, জনসভাস্থলসহ দুই পাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকাতে সাজানো হয়েছে।
এ জনসভায় ১০ লাখ মানুষের জমায়েত করার পরিকল্পনা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার (২৪ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জনসভাস্থল পরিদর্শনে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে যে পরিমাণ উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখছি তাতে বৃষ্টি না হলে উপস্থিতি ১০ লাখ ছাড়াবে।