শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪০ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর প্রথম দিনেই মাওয়া প্রান্তে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। বাস-ট্রাক আর প্রাইভেটকারে অনেকেই পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন আজ।
আজ রবিবার (২৬ জুন) সকাল ৮টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা যায়।
এ দিন সকাল ৬টা থেকে পদ্মা সেতুতে সাধারণ মানুষের জন্য যান চলাচল শুরু হয়। ফলে ঢাকা থেকে অনেকে নানা প্রয়োজনে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ওপারে যাওয়ার জন্য বের হন। এতে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়।
বেলায়েত হোসেন মিলন নামে এক যাত্রী বলেন, খুলনা থেকে সকাল ৭টায় মোটরসাইকেল নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছি। ২ ঘণ্টায় সকাল ৯টায় পদ্মা সেতু পার হয়ে মাওয়া প্রান্তে পৌঁছি। টোল প্লাজার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তার দাবি, টোল প্লাজার সংখ্যা আরও বাড়ানো উচিত। তা না হলে পদ্মা সেতুতে যানজট লেগেই থাকবে।
পদ্মা সেতুতে ঘুরতে এসেছেন আহসানুল হক আমিন নামে এক যুবক। তিনি বলেন, ইতিহাসের সাক্ষী হতে ভোরে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে এসেছি। সকালে টোল প্লাজায় যানজটের কারণে পদ্মা সেতুতে উঠতে কিছুটা সমস্যা হলেও সেতুতে ঘুরতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জিয়া বলেন, পদ্মা সেতু সকাল ৬টা থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য রাত থেকেই কিছু গাড়ি সেতু পারের জন্য টোল প্লাজায় অপেক্ষা করছিল। এজন্য কিছুটা যানজট সকালে দেখা দিয়েছিল। এখন অনেকটাই স্বাভাবিক আছে।
এর আগে রবিবার (২৬ জুন) ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে উদ্বোধনের প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। আগের দিন (শনিবার) বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে এ সেতুর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যান চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই প্রান্তের ১৪টি টোল গেট চালু হয়ে যায়। সবকয়টি গেটে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল আদায় করা হচ্ছে। নির্ধারিত টোল দিয়ে থ্রি-হুইলার ছাড়া যেকোনো গাড়ি পার হতে পারছে পদ্মা সেতু দিয়ে।