মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ১১:৩০ অপরাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক : ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের জার্সি গায়ে যখন খেলতেন তখন ছিলেন স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রতীক। দলের বিপদে বারবার প্রতিভাত হয়েছেন রেড ডেভিলসের সবচেয়ে বড় পরিত্রাতা হিসেবে। সেই রায়ান গিগসই এখন ব্যক্তিগত জীবনে সবচেয়ে বড় ‘ক্রাইসিসে’। অবাধ ও উদ্দাম যৌনজীবন নিয়ে তাঁকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন গিগসের প্রাক্তন বান্ধবী কেট গ্রেভিল।
গিগসের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তা ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ জানিয়ে আগেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গ্রেভিল। পাশাপাশি প্রাক্তন বান্ধবীর বোন এমাকেও মারধরের অভিযোগ উঠছিল প্রাক্তন ম্যান ইউ তারকার বিরুদ্ধে। ২০২০-র পয়লা নভেম্বরে সেই অভিযোগ পাওয়ার পর গিগসের বাড়িতে তদন্তের জন্য হাজির হয় পুলিশ। সেই সময় ওয়েলসের জাতীয় ফুটবল টিমের দায়িত্বে ছিলেন গিগস। প্রাক্তন বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন আদালত অবধি গড়ানোর পরে ওয়েলসের দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি নিতে হয় তাঁকে। এবার আরও বড় সংকটে ৪৮ বছরের রেড ডেভিলস প্রাক্তনী।
আদালতের সামনে গিগসের অবাধ ও উদ্দাম যৌন জীবন, সেইসঙ্গে তাঁর ওপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচারের কথা ফাঁস করেছেন গ্রেভিল। গিগসের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্যপ্রমাণ আদালতকে দেওয়ার পাশাপাশি গ্রেভিল জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে ক্রীতদাসের মতো আচরণ করতেন প্রাক্তন ম্যান ইউ তারকা। আদালতকে নিজের বয়ানে গ্রেভিল বলেছেন, “সবসময় উদ্দাম যৌনতায় মেতে থাকতেন গিগস। সাত-আটজনের সঙ্গে সহবাস করতেন।” গিগসের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আচরণ করলে ফল হত মারাত্মক। তাঁর দাবি না মানায় ২০১৭-তে হোটেলরুমে গ্রেভিলকে ল্যাপটপ ছুঁড়ে মারেন গিগস, অভিযোগ করেছেন তাঁর প্রাক্তন বান্ধবী।
২০১৪ সালে গিগসের সঙ্গে ‘ডেটিং’ শুরু হয় কেটের। তবে ছন্দপতনের শুরু ২০১৭ সালে। গিগস যে অন্য নারীদের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত, তা ধরে ফেলেন গ্রেভিল। তা নিয়ে ঝামেলাও হয়। ক্ষুব্ধ গিগস বিবস্ত্র অবস্থায় তাঁকে হোটেলের করিডোরে বের করে দিয়েছিলেন বলে জানান ৩৬ বছরের কেট। সেই তিক্ততা চরমে পৌঁছায় ২০২০-তে। তবে গ্রেভিলের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন ম্যান ইউ তারকা। গিগসের আইনজীবীদের দাবি, একরাশ মিথ্যা কথায় সহানাভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন কেট। পালটা সওয়ালে গিগসের আইনজীবীরা জানতে চেয়েছেন, এতদিন এই অভিযোগ কেন করেননি গ্রেভিল। তবে পরিস্থিতি যা, তাতে যৌনকেচ্ছায় কালিমালিপ্ত গিগসের ভাবমূর্তি।