মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১০ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক: মৌলভীবাজার এবার কারাগারে উভয় পক্ষের সম্মিলিতভাবে বিয়ে অনুষ্টিত হলো। মৌলভীবাজার আদালতের নির্দেশে নারী ও শিশু নি র্যা ত ন মামলার হাজতীর সাথে এই মামলার ভুক্তভোগী নারীর বিয়ে সম্পন্ন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে চারিিদিকে ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মৌলভীবাজার কারাগারেই এই বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়ের বর জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার সতীঝীরগাও-এর ছমির আলীর ছেলে রায়হান হোসেন ২০২২সালের মে মাস থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন বিচারাধীন মামলায় কারাগারে আছেন। (দৈনিক মৌমাছি কন্ঠ) আর কনে একই মামলার ভুক্তভোগী কুলাউড়া উপজেলার লাবনী আক্তার। এ সময় মৌলভীবাজার জেল সুপার ও জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি মোছাঃ মলি আক্তারসহ উভয় পক্ষের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ঠ জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে ভিকটিম ও উভয় পরিবারের সম্মতিতে ইসলামী শরীয়া মতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তারা।
ভিকটিম জানিয়েছেন বিবাদী রায়হান তাকে অপহরন করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে এবং আজ তার সম্মতিতে এই বিবাহ অনুষ্টান সম্পন্ন হয়েছে। লাবনী ও নবজীবনের সাথীর জন্য সকলের দোয়া ও আর্শিবাদ চেয়েছেন।(দৈনিক মৌমাছি কন্ঠ)
এনিয়ে মৌলভীবাজার জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মলি আক্তার এর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে এখানে এসেছি। এখানে জেল সুপারসহ অন্যান্য প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি তারা ভবিষ্যতে সুখী হবে,ভালো থাকবে। যেহেতু, মামলাটি এখনো বিচারাধীন আছে এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আদালত থেকে পাওয়া যাবে।
বিয়ের ব্যাপারে ভুক্তভোগী লাবনী আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে জোর করে কিডন্যাপ করে ধর্ষণ করেন তিনি। এনিয়ে তাহার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়। মামলা দায়েরের পর দুই পরিবারের আলোচনার মাধ্যমে আমি এ বিয়েতে সম্মতি জানালে মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে আমাদের বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। আমরা ঊভয়ের কাছে একটাই চাওয়া যেন আমাদের দাম্পত্য জীবন সুখী ও সুন্দর হয়।
মৌলভীবাজার জেল সুপার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে জানান, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে আসামী মো. রায়হান ও ভিকটিম লাবনী আক্তারের আনুষ্ঠানিক বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে কারাগারে। এসময় হাজতীর মা ও দুই চাচা এবং ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ইসলামি শরীয়াহ মোতাবেক তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বিয়েতে ৫লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ওয়ানরেন্ট সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি এটা নারী ও শিশু ও নির্যাতন মামলা। আসামী রায়হান ২২মে ২০২২সালের থেকে আমাদের কারাগারে আছেন। অবশেষে আদালত যে রায় দিয়েছেন আমরা এতে ধন্যবাদ জানাই। এতে করে দুইটি মানুষের জীবন রক্ষা হয়েছে। নয়তো আসামীর জীবন জেলেই কেটে যেতো। মেয়েটির জীবনেও নানা ধরনের সমস্যা হয়েছে। এখন মেয়েও ছেলেকে গ্রহণ করেছে, ছেলেও মেয়েকে গ্রহণ করেছে। এতে আমরা শুকরিয়া জানাই। এখন আদালত আশা রাখি দ্রুত মামলাটির নিষ্পত্তির আদেশ প্রদান করলেই আমরা আদালতের সিদ্ধান্তের উপড় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এদিকে, এই অভিনব বিয়েতে উপস্থিত হয়েছিলেন উভয় পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় এলাকার ব্যক্তিবর্গরা। তারা নবদম্পতির সুন্দর জীবন কামনা করেন ও মামলা দ্রুত নিস্পত্তিসহ তারা যাতে একসাথে ঘর সংসার করতে পারেন এমনটাই প্রত্যাশা করেন।