বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: গাজার উত্তরাঞ্চলে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর এবার দক্ষিণে নজর দিয়েছে দখলদার ইসরাইলি সেনারা। তারা এখন দক্ষিণাঞ্চলে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের দীর্ঘ দিন ধরে চলা আক্রমণ, বসতি স্থাপন এবং ফিলিস্তিনিদের নির্যাতনের প্রতিবাদে গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ঢুকে হামলা চালানোর কথা জানায় গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এর পাল্টা হিসেবে সেদিন থেকেই অবরুদ্ধ গাজায় বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। অব্যাহত এ হামলার ৪১তম দিন বৃহস্পতিবার। এ সময়ে ১১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ।
আল-শিফা হাসপাতালে আক্রমণ : মিথ্যা হলো ইসরাইলের দাবি?
ইসরাইল দীর্ঘ দিন ধরে দাবি করে আসছে, গাজার আল-শিফা হাসপাতালের নিচে হামাসের কমান্ড সেন্টার রয়েছে। এই দাবির ভিত্তিতে তারা আল-শিফা হাসপাতালে আক্রমণ করে। তারা বুধবার দুপুর ২টায় প্রথম বারের মতো হামলা চালায়। এরপর বৃহস্পতিবারও হামলা চালায় তারা। এরপর ইসরাইলি বাহিনী দাবি করেছে, অভিযানে তাদের দাবির পক্ষে প্রমাণ মিলেছে। তবে দেখা যাক কী প্রমাণ মিলেছে তাদের।
হাসপাতালে কী পাওয়া গেল?
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী হাসপাতালের একটি অব্যবহৃত ভবনের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখানো হয়েছে, তিনটি ডাফেল ব্যাগ, প্রতিটিতে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল, গ্রেনেড, হামাসের ইউনিফর্ম ও ফ্ল্যাক জ্যাকেট রয়েছে। এছাড়া ভিডিও ছাড়াই আরো একটি অ্যাসল্ট রাইফেল ও ল্যাপটপ পাওয়া গেছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
হামাসের টানেল ও সামরিক কমান্ড সম্পর্কে কী পাওয়া গেল?
অভিযানের আগের দিনগুলোতে ইসরাইল জোর দিয়ে বলেছিল, হামাস আল-শিফা হাসপাতালের নিচ থেকে টানেল পরিচালনা করছে। তারা আরো দাবি করেছিল, হাসপাতালটি হামাসের একটি কমান্ড সেন্টার ও সামরিক চৌকিও বটে। ইসরাইলের দাবিগুলোকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও সমর্থন করেছিলেন। তিনি হাসপাতালের নিচ থেকে যুদ্ধ পরিচালনার অভিযোগ এনে হামাসকে যুদ্ধাপরাধের জন্য অভিযুক্তও করেছিলেন।
অভিযান শুরু হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পার হয়ে গেছে। কিন্তু তারা নিজেদের দাবির পক্ষে একটি প্রমাণও পেশ করতে সক্ষম হয়নি। ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জোনাথন কোনরিকাস বলেন, ‘এই অস্ত্রগুলোর একটিও হাসপাতালের কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, আমি ভেবেছিলাম যে উপাদানটি ‘আইসবার্গের শীর্ষ’।
সূত্র : রয়টার্স ও অন্যান্য