1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বিদায় বেলায় যা বললেন মান্নান

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৫৫ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : দীর্ঘ ১০ বছর দায়িত্ব পালনের পর মন্ত্রণালয় থেকে বিদায় নিচ্ছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিদায় বেলায় কোনো আক্ষেপ বা কষ্ট রয়ে গেছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেছেন, নো নো, আমি এনজয় করছি। আমার কোনো কষ্ট নেই।

তিনি বলেন, আমি মন্ত্রী না থাকলেও সংসদে আছি। সংসদ সরকারের ওপরে। আমি দলের একজন কর্মী। আমি শেখ হাসিনার একজন কর্মী। দল যেখানে কাজে লাগাবে সেখানে কাজ করবো।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে বৃহস্পতিবার শেষ অফিস করছেন মান্নান। বিদায়ী দিনে মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কুশলাদি বিনিময় করেন তিনি।

এই মন্ত্রণালয়ে নতুন যিনি মন্ত্রী হয়ে আসবেন তার প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এখানে নতুন যিনি আসবেন তিনিই আমার সহকর্মী। আমার কোনো মতামত নিলে উনাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। তিনি আমার সরকারের বাইরের কেউ নন। নতুন যিনি আসবেন তাকে অভিনন্দন জানাই।

তিনি বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কাজের চমৎকার পরিবেশ। এখানে কাজ উপভোগ করা যায়। সবকিছুই প্রাণবন্ত। তবে এখানে একটাই চ্যালেঞ্জ, সবার প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকে। এখানেও নানা বিধিবিধান মেনেই কাজ করতে হয়। বাস্তবিক অর্থে এখানে প্রধানমন্ত্রীই প্রধান।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশের অনেক আর্থ-সামাজিক বিবর্তন হয়েছে। এখানে প্রকল্প পাস ও তৈরি করা হয়। এখানে সব প্রকল্পই জনকল্যাণে হয়। সবাই খুব অভিজ্ঞ ও ভালো। আগামীতেও সবাই আমরা দেশের কল্যাণে কাজ করবো।

 

তিনি বলেন, এখানে (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে) একটা একাডেমিক পরিবেশ আছে। সব মিলে এই মন্ত্রণালয়ে প্রচুর কাজের পরিবেশ আছে। সাধারণ মানুষও এখন পরিকল্পনা কমিশন চেনে। গ্রামে সবাই এখন একনেক চেনে। গ্রামের মানুষ এখন উন্নয়নের সঙ্গে খুব পরিচিত।

বিদায়ী মন্ত্রী বলেন, দেশে সুশাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামের মানুষ খুব উন্নয়ন চায়। উন্নয়নেক সামনে এগিয়ে নিতে চায়। একনেক হলে মানুষ টেলিভিশন বা পত্রিকায় চেয়ে থাকে। কোন অঞ্চলে কী প্রকল্প পাস হয় এটা সবাই দেখতে চায়।

নতুন মন্ত্রিসভা প্রসঙ্গে এম এ মান্নান বলেন, চমৎকার মন্ত্রিসভা করেছে সরকার। প্রত্যেকে কাজের মানুষ। বাস্তবতার নিরিখে আমি এখানে কাজ করছি। এই মন্ত্রণালয়ে সবাই ভালো কাজ করে।

এম এ মান্নান ১৯৪৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে সারগোদায় অবস্থিত পাকিস্তান এয়ারফোর্স স্কুল থেকে ১৯৬২ সালে ‘ও’ লেভেল সমাপ্ত করেন। মুরারিচাঁদ কলেজেও লেখাপড়া করেন তিনি। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

এম এ মান্নান ১৯৭৪ সালে সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। পর্যায়ক্রমে কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে পদোন্নতি পেয়ে সরকারের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক এবং এনজিও ব্যুরোতে মহাপরিচালক ছিলেন। ২০০৩ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পূর্বে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ইকোনমিক মিনিস্টার হিসেবে জেনেভায় অবস্থিত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিজয়ী হয়ে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিজয়ী হয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।

২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি নিলেন বিদায়।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..