শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৪ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: প্রেমের দ্বন্দ্ব মেটাতে গিয়ে নিজেই স্কুলশিক্ষার্থীকে বিয়ে করলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। গত শুক্রবার পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। দুই সন্তানের জনক চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের দ্বিতীয় বিয়ে এটি। কনে নছিমন আক্তার কনকদিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এদিকে, তাদের বিয়ের ঘটনায় বর্তমানে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কনকদিয়া ইউনিয়নের নারায়নপাশা গ্রামের রমজান নামে এক যুবকের সঙ্গে চুনারপুল এলাকার নজরুল ইসলাম হাওলাদারের মেয়ে নছিমন আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। নাজনিনের বাবা ওই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি। তিনি বিয়ষটি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের কাছে নালিশ করেন। পরে শাহিন হাওলাদার চুনারপুল বাজারে শুক্রবার শালিস বৈঠকের আয়োজন করেন। সেখানে রমজান ও নছিমনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। শালিস বৈঠকে নছিমনকে দেখে চেয়ারম্যান শাহিন নিজেই বিয়ের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে নছিমনের বাবা সম্মতি দেওয়ায় জুম্মার নামাজের পর বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘মেয়েটিকে দেখে আমার পছন্দ হওয়ায় তাকে বিয়ে করেছি। এছাড়া আমার বিয়ে প্রয়োজন ছিল।
বাল্যবিয়ে করেছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আপনার ভাবির জন্ম ২০০৩ সালের ২১ এপ্রিল। তিনি নবম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। তিন বছর হয় লেখাপড়া বাদ দিয়েছেন। বিয়ের বিষয়টি নিয়ে তিনি লজ্জিত নন বরং আনন্দিত।এ বিষয়ে কনকদিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তবে পরিমল চন্দ্র শীল বলেন, নসিমনের বিয়ের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
তবে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, এ বাল্যবিয়ের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে প্রেমিকাকে চেয়ারম্যান বিয়ে করায় কষ্টে বিষপান করেন প্রেমিক রমজান। শুক্রবার বিকালে অচেতন অবস্থায় রমজানকে বাউফল স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। শনিবার দুপুর পর্যন্ত রমজানের জ্ঞান ফেরেনি।