বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:২৮ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: মুজিববর্ষ উপলক্ষে নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর বেশ কিছু ঘর হস্তান্তরের আগেই ভেঙ্গে পড়েছে। তলিয়ে যাচ্ছে জোয়ারের পানিতে।নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তৈরি এসব ঘর ভেঙে পড়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ঘটনাটি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার ১৪ নম্বর শ্রীপুর ইউনিয়নের। সেখানে ১১টি ঘর ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে এসব ঘর জোয়ারের পানি উঠলেই তলিয়ে যাচ্ছে। ফলে হস্তান্তরের আগেই বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ঘরগুলো। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে ভেঙে যাওয়া ঘরগুলো মেরামত শুরু হয়েছে।
জানা যায়, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় শ্রীপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে ৪০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের কাজ ও উপজেলা প্রশাসনের নজরদারির অভাবে এ ঘটনা ঘটেছে। ?আর ঘরগুলো নির্মাণের কথা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তত্ত্বাবধায়নে। কিন্তু ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে ঘরগুলো নির্মাণ করতে দেখা যায়। যদিও স্থানীয়দের এ অভিযোগ চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। আর ঘর ভেঙে পড়ার পিছনে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসকে দায়ী করেছেন স্থানীয় প্রশাসন গঠিত টেকনিক্যাল কমিটি। জানান ইউএনও।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন মাসুদ সাংবাদিকদের বলেন, ঘর বরাদ্দ ও জায়গা নির্বাচন সর্ম্পকে কিছু বলার এখতিয়ার আমার নেই। কারণ আমি এসেছি দুই মাস হলো। প্রথম দফার ঘর নির্মাণ সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের সময়ে হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবের দিনে বাহেরচরের ৪০টি ঘরে পানি উঠে তলিয়ে যায়। ওইদিনই চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছেন ঘর ভেঙে পড়েছে। ওখানকার দু’টি ঘর পুরোপুরি ভেঙে গেছে আর ৯টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘর ভেঙে পড়ার পরে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে নির্মাণ ত্রুটিতে নয়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ঘর ভেঙে পড়েছে।
এরপর ঘর মেরামতে বরাদ্দের আবেদন করা হয়। বরাদ্দ পেতে বিলম্ব হওয়ায় সংস্কারকাজ শুর করতেও সময় নিতে হয়েছে। গত তিনদিন হলো মেরামত কাজ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে ইউএনও বলেন, মিস্ত্রিদের বলা হয়েছে উপকারভোগীরা যেমন চাইবে সেভাবেই ঘরগুলো মেরামত করে দেবে।