মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৬ অপরাহ্ন
লাইফস্টাইল ডেস্ক : উনিশ শতকের স্বনামধন্য বাঙালি কবি ও পত্রিকা সম্পাদক কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার তাঁর রচিত ‘সদ্ভাব শতক’ কাব্যগ্রন্থের ‘সুখী দুঃখীর দুঃখ বোঝে না’ শীর্ষক কবিতার শুরুর পঙতিগুলো এরকম- “চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন,/ ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে?/ কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে/ কভু আশী বিষে দংশেনি যারে?” কবির বহুল পঠিত ও নন্দিত এই এই কথাগুলো প্রতিটি মানুষের বাস্তব জীবনে সত্যি হয়ে উঠে। কিন্তু সুখ তো সবার হাতের নাগালে আসে না, আবার অনেকেই সুখের সাগরে দিনরাত হাতড়েও কূল পায় না। এমনই বিচিত্র এই জীবন।
তবে দুঃখ কষ্ট আর ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়েও যে ব্যক্তি জীবনকে সুখের পথে পরিচালিত করতে পারেন তার জীবনই সুখময় হয়। তিনিই সুখের স্পষ্টটুকু উপলব্ধি করতে পারেন। জীবনে মানুষ যা চায় সবই কি পায়? পায় না হয়তো। কিন্তু এই পাওয়া না-পাওয়ার ভিড়েও সুখটুকু খুঁজে নেয়ার কিছু উপায় পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো-
১. নেতিবাচক চিন্তা না করা: সুখি থাকতে চাইলে কখনও নেতিবাচক চিন্তা করা যাবে না।
২. কারও সঙ্গে নিজেকে তুলনা করবেন না: আপনি যতটুকু ঠিক ততটুকুই। কারও সঙ্গে নিজেকে তুলনা করলে নিজের মানসিক শক্তি কমে আসে। হতাশা কাজ করে। মনে রাখতে হবে, সবার প্রতিভা এক নয়। আর সবাই সব বিষয়ে সমান প্রতিভাবান নয়।
৩. ইতিবাচক থাকুন: যে কোনও কাজে ও চিন্তায় সব সময় নিজেকে পজেটিভ রাখার চেষ্টা করুন। জীবনের ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে ভাবুন। নিজেই নিজেকে আশ্বস্ত করুন।
৪. খাবার ও ঘুম: ‘স্বাস্থ্যই যদি সকল সুখের মূল’ হয় তবে সুখি থাকতে চাইলে খাবার ও ঘুমটা হতে হবে ঠিকঠাকভাবে। নিয়ম মাফিক ব্যায়াম করতে পারলে আরও ভালো।
৫. নিজেকে ভালোবাসুন: অন্যের প্রতি হিংসা বিদ্বেষ ঘৃণা পরিহার করে নিজেকে আগে ভালবাসতে শিখুন। নিজেকে ভালোবাসলে অন্যকেও ভালোবাসা যায় সুখি থাকা যায়।
৬. প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটান: সুখি থাকার আরেকটি বড় উপায় হচ্ছে পরিবার, বন্ধুবান্ধব কিংবা প্রিয়জনদের সঙ্গে চুটিয়ে সময় কাটানো। এতে মাথা হালকা ও চাপমুক্ত থাকে।
৭. চিন্তামুক্ত থাকুন: এখন হয়তো কোনও একটা ব্যাপারে ফলাফল ভালো হয়নি। তাই বলে যে আগামী দিনেও হবে না তা তো নয়। তাই সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করুন। চিন্তামুক্ত থাকুন।
৮. কৃতজ্ঞতা: সুখি থাকার আরেকটি বড় উপায় হচ্ছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। অনেকেই আছেন, যারা আপনার চেয়েও অনেক কষ্টে ও দুঃখে আছেন। অতএব নিজের জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকনু।
৯. সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব: মন বড় থাকলে এমনিতেই জীবনে সুখ থাকে। বিপদে আপদে অন্যের পাশে দাঁড়ান। অন্যের সমস্যাগুলো শোনার চেষ্টা করুন।
১০. নিজের ওপর আস্থা রাখুন: আত্মবিশ্বাসী মানুষ কখনও অসুখি হয় না। নিজের ওপর আস্থা রাখতে হবে। নিজেকে যোগ্য ভাবতে হবে। ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে সব কাজে এগিয়ে যেতে হবে। তবেই দিনশেষে সুখের ঠিকানা থাকবে আপনার নাগালে।