শূন্য দিয়ে শুরু করা এই আসরে আগের চার ম্যাচে এনামুলের মোট রান ছিল ৪৬। অবশেষে দলের প্রত্যাশার প্রতিদান তিনি দিতে পারলেন বড় ইনিংস খেলে। এনামুল সাধারণত যেভাবে ব্যাট করেন, এই ইনিংসটিও ঠিক তেমনই। যেখানে সমাহার দারুণ কিছু শটের, কখনও কিছুটা মন্থর হয়ে যাওয়া, আবার বড় শটে তা পুষিয়ে দেওয়া। পাওয়ার প্লেতে তিনি ৩৩ রান করেন ২২ বল খেলে। এরপর স্লগ সুইপে দারুণ এক ছক্কা মারেন শুভাগত হোমকে। ফিফটি করতে ৩৮ বল লাগে তার।
দ্বাদশ ওভারের পর চার ওভারে কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেননি তিনি। তখন সেঞ্চুরিও মনে হচ্ছিল বেশ দূরের পথ। ১৬ ওভার শেষে তার রান ছিল ৫২ বলে ৬৩। তবে শেষ দিকে আবার গতি বাড়িয়ে তিন অঙ্কের দিকে ছুটে যান ৩২ বছল বয়সী ব্যাটসম্যান। সপ্তদশ ওভারে দুইটি চার মারেন তিনি ইমনকে, পরের ওভারে ছক্কা মারেন নাজমুল ইসলাম অপুকে। শেষের আগের ওভারে চার ও ছক্কা মারেন সালাউদ্দিন সাকিলকে।
শেষ ওভারটি করেন সদ্য অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ম্যান অব দা ফাইনাল ও ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট ইমন। তার প্রথম বলে সিঙ্গল নেন নুরুল হাসান সোহান। পরের বলে এনামুল চার পান ব্যাটের কানায় লেগে। তৃতীয় বলটিতে রিভার্স র্যাম্প খেলার চেষ্টায় ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। পরের বলে লং অনে পাঠিয়ে দ্রুততায় ছুটে নেন দুটি রান। এরপর শর্ট বলে পুল করে ছক্কায় সেঞ্চুরি। শেষ বলে ১ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে শেষ করেন ইনিংস। তার সঙ্গে ২৩ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক সোহান।
২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮০ রান তোলে খুলনা। বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা। ৩২ রানের মধ্যে তিনটি উইকেট হারায় তারা। শেষ পর্যন্ত চার উইকেটে ১৫৯ রানে থামে ঢাকার ইনিংস। ২১ রানের জয় পায় খুলনা। আসরে এ নিয়ে টানা চার ম্যাচ হারল ঢাকা। পয়েন্ট টেবিলে একদম তলানিতে এই দলটি। অপরদিকে দুই হারের পর জয়ে ফিরল নুরুল হাসান সোহানের দল। পয়েন্ট টেবিলে পাঁচ নম্বরে আছে খুলনা।