শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৯ অপরাহ্ন
ক্রীড়া প্রতিবেদক: প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলল বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া। সেই সিরিজেই টানা তিন ম্যাচ জিতে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টাইগারদের সিরিজ জয়। এটি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যেকোনো ফরম্যাটে টাইগারদের প্রথম সিরিজ জয়। ঐতিহাসিক এই জয়ে আনন্দে ভাসছে বাংলাদেশ।
১০ রানে এই জয়ের মাধ্যমে টানা তিন জেতার রেকর্ড করল মাহমুদউল্লাহরা। এদিন বৃষ্টির কারণে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় পরে শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে ব্যাট নেয় বাংলাদেশ। তবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর কারণে খুব বড় সংগ্রহ করতে পারেননি স্বাগতিকরা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ বাঁচাতে ওয়েড-মার্শদের দরকার ছিল ১২৮ রান। কিন্তু মোস্তাফিজদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অজিরা থামে ১১৭ রানে।
এদিন ব্যাটে নেমে শুরুতে তিন রানে দুই ওপেনারকে হারায় টাইগাররা। ফর্মহীন সৌম্য তৃতীয় ম্যাচে জাম্পার বলে এলবি হয়ে ফিরেন দুই রানে। এদিন শুরুতেই হ্যাজলউডের বলে ফিরেন আরেক ওপেনার নাইম শেখও। প্রথম দুই ম্যাচে তার ব্যাট থেকে রান এলেও এ ম্যাচে আসে মাত্র এক রান। তিন রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।পরে অধিনায়কের সাথে জুটি গড়েও ফিরতে হয় সাকিবকে। ১৭ বলে চার চারে ২৬ রানে থামে সাকিবের ব্যাট। দুর্দান্ত শুরু করেও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন গত ম্যাচের নায়ক আফিফ হোসেন। অ্যালেক্স ক্যারির দুর্দান্ত থ্রো-তে ১৩ বলে ১৯ রান করেই ফিরতে হয় আফিফকে। এর পরে খুব ভালো করতে পারেননি আরেক তরুণ শামীম হোসেনও। হ্যাজলউডের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেন আট বলে তিন রান।
মোয়েসেস হেনরিকসের থ্রো-তে রান আউট হন আরেক ব্যাটার নুরুল হাসানও (১১ রান)। একশো রানের আগেই হারায় টাইগারদের ছয় উইকেট। পঞ্চমবারের মতো ফিফটি আর অধিনায়ক হিসেবে প্রথমবারের মতো ফিফটি করে যখন অধিনায়ক ফিরেন তখন ইনিংসের বাকি দুই বল। ৫৩ বলে চার চারে ৫২ রান করে এলিসের বলে বোল্ড হন রিয়াদ। অভিষেক ম্যাচেই হ্যাট্রিকের স্বাদ পান নাথান এলিস। দুইটি করে উইকেট নেন হ্যাজলউড-জাম্পা।টার্গেটে খেলতে নেমে ভালো শুরু পায়নি সফরকারীরা। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে তিনে ব্যাট করে সফল হননি অজি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। বাধ্য হয়ে ফিরে এলেন নিজের পছন্দের জায়গা ওপেনে। তবে আজও পারলেন না ওয়েড। মাত্র এক রানে শরিফুলকে নাসুমের বলে ক্যাচ দেন তিনি।
পরে অবশ্য সাকিবের বলে মার্শকে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউতে বেঁচে যান অন্যতম সেরা ফর্মে থাকা এই অজি ব্যাটার। দলে সুযোগ পাওয়া ম্যাকডারমট নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়ে জয়ের পথে এগোন তিনি। তবে ৩২ রানে সাকিবের শিকার হন ম্যাকডারমট। ম্যাকডারমট অবশ্য আরও আগেই ফিরতে পারতেন। ব্যক্তিগত ৩২ রানে মোস্তাফিজের বলে সহজ ক্যাচ ফেলেন শরিফুল। পরে শরিফুলের বলে দুই রানেই ফিরেন মোয়েসেস হেনরিকস। শেষের দিকে মোস্তাফিজ দুর্দান্ত বল করে বাংলাদেশকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন।চতুর্থ বলে ফুলটসে একটা নো করেছিলেন মেহেদী হাসান। তবে তাতে কিছু যায় আসেনি। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে ১০ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো তাদের বিপক্ষে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। সেটিও দুই ম্যাচ বাকি রেখেই! এবার তো মাহমুদউল্লাহরা উড়তে পারেই।