1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বড় প্রকল্পগুলো দুর্নীতির সুযোগ করে দিচ্ছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৭১২ বার পঠিত

 অনলাইন ডেস্ক: বড় প্রকল্পগুলো দুর্নীতি, লুটপাট ও অপচয়ের সুযোগ করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ‘সমাজে দুর্নীতি আছে, এটি নিয়ে আমরা চিন্তিত। অসহিষ্ণুতা নয়, আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতি হ্রাস করা হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদকসহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে।শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এফডিসিতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেস’র ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানায় ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা ও প্রযুক্তির প্রসার ঘটিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বস্তরের দুর্নীতিকে প্রতিকার করা জরুরি। হাইটেক পার্কে যেসব ব্যত্যয় ঘটেছে তা দূরীকরণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উচ্চ শিক্ষার প্রসারে সরকার আন্তরিক এবং সে জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে, যেখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। অটোমেশন বা যান্ত্রিকীকরণ প্রক্রিয়ায় পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘বাংলাদেশও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে পথ চলা শুরু করেছে। কিন্তু দ্রুত গতির চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে বাংলাদেশ কতখানি যুক্ত হতে পারছে সেটি হচ্ছে আলোচনার বিষয়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে দ্রুতগতির ইন্টারনেট, মেশিন টু মেশিন যোগাযোগ, বিগ ডাটা, রিয়েল টাইম ডাটা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আধুনিক রোবটিক্স, ন্যানো টেকনোলজি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, থ্রিডি প্রিন্টিং, স্বয়ংক্রীয় গাড়ি ইত্যাদি বিষয় চলে আসে। কিন্তু এগুলোর কোনোটিতেই এখনও আমরা আশানুরূপ অবস্থান তৈরি করতে পারিনি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যুক্ত হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ইন্টারনেট সুবিধা। অথচ ইন্টারনেট গতিতে সুদান, লিবিয়া, সিরিয়া, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, উগান্ডার মতো দেশের চেয়েও পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৭টি দেশের মধ্যে ১৩৫তম। ইন্টারনেট গতিতে বাংলাদেশের পিছনে রয়েছে শুধু আফগানিস্তান ও ভেনিজুয়েলা। তবে বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানে অনলাইন সেবা চালু হয়েছে। চালু হয়েছে ৯৯৯ ও ৩৩৩ এর মতো জরুরি সেবা কার্যক্রম, মোবাইল ব্যাংকিং, ই-কমার্স, অনলাইন মার্কেটিং ইত্যাদি কার্যক্রম।

অনুষ্ঠানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ১০টি সুপারিশ করা হয়। নিম্নে এগুলো উল্লেখ করা হলো:

১। মোবাইল কোম্পানিগুলো প্রতি জিবিতে ৩০০ গুণ মুনাফা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই সারাদেশে সাশ্রয়ী মূল্যে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা।

২। প্রথাগত শিক্ষার বাইরে বৃত্তিমূলক ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা।

৩। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে বিভিন্ন সেক্টরের ওপর যে প্রভাব পড়বে তা নিরূপণ করে নিরসনের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা।

৪। শুধু পোশাক খাতের ওপর নির্ভর না করে রফতানিমুখী শিল্পসহ অন্যান্য সেক্টরে উৎপাদন বৈচিত্র্য নিশ্চিত করা।

৫। সৃজনশীল ও বুদ্ধিভিত্তিক চর্চার সুযোগ বাড়িয়ে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অধিক হারে গবেষণার সুযোগ প্রদান করা।

৬। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশনসহ বিভিন্ন সমস্যাকে প্রযুক্তি ও বুদ্ধিভিত্তিক উপায়ে সমাধানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া।

৭। প্রযুক্তিকে ইতিবাচকভাবে ব্যবহারের জন্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো।

৮। হাইটেক পার্কসমূহে যুবক ও যুব মহিলাদের কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা।

৯। প্রযুক্তিতে দক্ষ-অদক্ষ মানুষের মধ্যে সমাজে যেন বৈষম্য তৈরি করতে না পারে তা বিবেচনায় অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা।

১০। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে কর্মসংকোচনের যে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে তা নিরসনে ক্রান্তিকালীন কর্মসূচি গ্রহণ করা।

প্রতিযোগিতায় নর্দার্ন ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..