রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০১:০৮ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।
আজ শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডের এক হাজার ৪৮৭টি কেন্দ্রে এবং ডিএনসিসির আওতাধীন ৫৪টি ওয়ার্ডের এক হাজার ৯০৫টি কেন্দ্রে এ ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান জানিয়েছিলেন, এবার ঢাকা উত্তর সিটিতে আট লাখ ৩৩ হাজার ৮৬১ শিশুকে টিকা খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী এক লাখ ২৬ হাজার ৩১১ এবং এক বছর থেকে পাঁচ বছর (১২-৬০ মাস) বয়সী ছয় লাখ ৯৭ হাজার ৫৫০ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তিনি বলেন, শিশুদের টিকা খাওয়ানোর ক্যাম্পেইন হলেও আমরা মূলত মায়েদের সচেতন করতে চাই। তাই এটিকে ‘ভিটামিন এ, প্লাস ক্যাম্পেইন’ নামকরণ করা হয়েছে। কারণ, একজন শিশুকে ভিটামিনের ক্যাপসুল খাওয়ানোর চেয়ে শাকসবজি খাওয়ানোর মাধ্যমে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করাটা বেশি উপকারী। তাই প্রত্যেক পরিবারে মায়েরা যদি সচেতনতার সঙ্গে সন্তানদের যতœ নেন, তা হলে ভিটামিনের সমস্যা হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিটি করপোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ডের কার্যালয়কে স্থায়ী টিকাদানকেন্দ্র করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন নগর মাতৃসদন কেন্দ্রসহ পাড়া-মহল্লার আরও এক হাজার ৪৫১টি কেন্দ্রে টিকা খাওয়ানো হবে। ছয় মাসের নিচে এবং পাঁচ বছরের বেশি বয়সের শিশুকে টিকা খাওয়ানো হবে না। এ ছাড়া কোনো শিশু যদি অসুস্থতাজনিত কারণে গত ৪-৫ মাসের ভেতরে ভিটামিন-এ খেয়ে থাকে, তা হলে ওই শিশুও ক্যাপসুল খেতে পারবে না।
এর আগে বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ সিটির নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন নিয়ে কেন্দ্রীয় অ্যাডভোকেসি এবং সাংবাদিক ওরিয়েন্টশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফজলে শামসুল কবির সভাপতিত্ব করেন।
সভায় জানানো হয়, শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এক হাজার ৪৮৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে দুই হাজার ৯৭৪ স্বেচ্ছাসেবক ও ১১২ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।