অনলাইন ডেস্ক: রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরিভিত্তিতে ২০০ বেডের আলাদা আরেকটি কোভিড হাসপাতাল প্রস্তুত করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সিলেটে করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেড শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সিলেটে গত কিছুদিন ধরে শামসুদ্দিন হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ বেড়েছে। এমন বাস্তবতায় গত বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় জরুরিভিত্তিতে ওসমানী হাসপাতালে ২০০ বেডের কোভিড হাসপাতাল প্রস্তুত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী ওসমানী হাসপাতালের নতুন আউটডোরে ২০০ শয্যার কোভিড হাসপাতাল প্রস্তুত করা হচ্ছে। সেখানে আইসোলেশনের জন্য কিছু ফ্যাসিলিটিজ (সুযোগ-সুবিধা) ডেভেলপ করতে হবে। এটা শেষ হলেই শুরু হবে কোভিড হাসপাতালের কার্যক্রম।
তিনি বলেন, ওসমানী হাসপাতালে আগে থেকেই কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসা হচ্ছে। মাঝখানে রোগী কমে যাওয়ায় করোনায় আক্রান্তদের কেবল শামসুদ্দিনে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমান বাস্তবতায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডেই তাদের চিকিৎসা দেওয়া হবে। এ হাসপাতালে আলাদা কোভিড হাসপাতাল চালুর পরই তাদের সেখানে স্থানান্তর করা হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ, সিলেটের সহকারী পরিচালক ডা. নূরে আলম শামীম জানান, ওসমানীতে ২০০ শয্যার কোভিড হাসপাতাল চালুর বিষয়ে তারা অবহিত। তিনি জানান, বর্তমানে শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতাল ছাড়াও ৩১ শয্যার খাদিমপাড়া হযরত শাহপরান (র.) হাসপাতাল ও দক্ষিণ সুরমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও সরকারিভাবে করোনা আইসোলেশন সেন্টার চালু রয়েছে। গত বুধবার দক্ষিণ সুরমায় চারজন এবং শাহপরানে একজন রোগী ভর্তি ছিলেন বলে জানান তিনি। শহীদ ডা. শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. সুশান্ত মহাপাত্র জানান, ১০০ শয্যার এ হাসপাতালে গত বুধবার বেলা ৪টা পর্যন্ত ৭৯ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে হাসপাতালের বিকল হয়ে যাওয়া ছয়টি আইসিইউ মেশিন ও দুটি ডায়ালাইসিস মেশিন জরুরিভিত্তিতে সচল করা হয়েছে। তবে পোর্টেবল এক্সরে মেশিনটি এখনো সচল করা যায়নি।
শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা. হোসেন আহমদ রুবেল জানান, মার্চ মাস থেকেই হাসপাতালের ১৬টি আইসিইউ বেডের সবকটিতেই রোগী ভর্তি থাকছে। সেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসকও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। নর্থ ইস্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের প্রধান ও কোভিড ইউনিটের ইনচার্জ ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, তাদের হাসপাতালে করোনার জন্য নির্ধারিত আটটি আইসিইউ বেড রয়েছে। গত বুধবার তাদের কয়েকটি আইসিইউ বেড খালি ছিল বলে জানান তিনি। করোনা ভাইরাস নিয়ে কাউকে আতঙ্কিত না হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। ওসমানী হাসপাতালের কোভিড ল্যাব সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে তাদের ল্যাবে নতুন করে ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪ জন সিলেট জেলার এবং একজন মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা।
এ জাতীয় আরো খবর..