1. newsmkp@gmail.com : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. info@fxdailyinfo.com : admi2017 :
  3. admin@mkantho.com : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
জাতীয় :  সন্ধ্যায় তিন বিভাগে কালবৈশাখীর আশঙ্কা

মিয়ানমার গণহত্যা: ‘স্বচ্ছ ও বিস্তারিত’ তদন্তের দাবি জাতিসংঘের

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৪০৯ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : গণতন্ত্রকামীদের রক্তে রাঙা মিয়ানমার। দেশে ‘খোলা হাওয়া’ ফেরাতে বেয়নেটকেও পরোয়া করছে না মানুষ। আর সেই স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন থামাতে একের পর এক হত্যালীলা চালাচ্ছে ‘টাটমাদাও’ বা বার্মিজ সেনাবাহিনী। সম্প্রতি কায়াহ প্রদেশে প্রকাশ্যে এসেছে এমনই এক গণহত্যার খবর। আর সেই ঘটনায় ‘বিস্তারিত ও স্বচ্ছ’ তদন্তের দাবি জানিয়ে জান্তার উপর চাপ বাড়ল রাষ্ট্রসংঘ।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচিত সরকারকে হঠিয়ে দেশের শাসনভার নিজের হাতে নেয় বার্মিজ সেনা। সেই অভ্যুত্থানের পর থেকেই অশান্ত মায়ানমার। সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও একদল প্রতিবাদীকে দমিয়ে রাখতে পারেনি জুন্টা। বেশ কয়েকটি মিলিশিয়া সেনার বিরুদ্ধে ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের দমন করতে নির্বিচারে হত্যালীলা চালাচ্ছে সেনা বলে অভিযোগ। কায়াহ প্রদেশে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল বিদ্রোহীরা। সেই প্রতিরোধ ভাঙতেই শুক্রবার রাতে এলোপাথারি গুলি চালায় বাহিনী। প্রমাণ লোপাট করতে ৩০ জনের দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলেও খবর। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি তুলে ধরেছে মিয়ানমারের স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন কারেননি। তারপর থেকেই চাপ বাড়াচ্ছে জান্তার উপর।

গতকাল রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সেই হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, “এই ঘটনা দেখে আমরা আতঙ্কিত। এর বিস্তারিত ও স্বচ্ছ তদন্ত করতে হবে মায়ানমার সরকারকে।” রাষ্ট্রসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল ফর হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স’ মার্টিন গ্রিফিথস আরও বলেন, “আম জনতার উপর সমস্ত ধরনের হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি আমরা। এহেন ঘটনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী। আমি সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি তারা যেন সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চত করে।”

উল্লেখ্য, কায়াহ প্রদেশের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও একাধিক হত্যালীলার অভিযোগ রয়েছে বার্মিজ ফৌজের বিরুদ্ধে। কয়েকদিন আগে এক প্রতিবেদনে বিবিসি দাবি করেছে, গত জুলাই মাসে মধ্য মায়ানমারের সাগাইং প্রদেশের কানি শহর সংলগ্ন অন্তত চারটি গ্রামে গণহত্যা চালিয়েছিল বার্মিজ সেনা। যার ফলে শুধুমাত্র ওই চার এলাকাতেই মৃত্যু হয়েছিল ৪০ জন সাধারণ মানুষের। বলে রাখা ভাল, কানি শহর বিদ্রোহীদের ঘাঁটি। ওই অঞ্চলে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা মিলিশিয়াগুলিকে শাস্তি দিতেই গণহত্যা চালায় ‘টাটমাদাও’ তথা বার্মিজ সেনা। বিবিসি-তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াইন নামের একটি গ্রামে একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি মানুষকে মারা হয়। সেখানে ১৪ জন গ্রামবাসীর উপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়ে তাঁদের হত্যা করেছে ফৌজ। এবার এই তালিকায় জুড়ে গেল মো সো-র গণহত্যা-ও।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..