মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: তিন কারণে ‘আশ্রয়ণ-২’ প্রকল্পটি চতুর্থবারের মতো সংশোধন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে আগামী মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির চতুর্থ সংশোধনীর জন্য তোলা হবে। চতুর্থ সংশোধনীতে ৬ হাজার ৩১৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪ হাজার ৮৪০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। চতুর্থ সংশোধনীে একনেকে অনুমোদন পেলে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াবে ১১ হাজার ১৪২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। একই সাথে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বেড়ে দাঁড়াচ্ছে জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত। একনেক কার্যপত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
আগামী মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি সংশোধনের জন্য উপস্থাপন করবে পরিকল্পনা কমিশন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাস্তবায়নকারী সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তিনটি কারণে প্রকল্পটি চতুর্থবার সংশোধনের প্রস্তাব করেছে-
(ক) মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ প্রদান নীতিমালা-২০২০ বাস্তবায়ন
(খ) প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রকল্পের কাজ ২০২৩ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার সানুগ্রহ নির্দেশনা এবং
(গ) আংশিক সংশোধিত ডিজাইন মোতাবেক একক গৃহের নির্মাণমূল্য ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় সংশোধনী অনুযায়ী জুলাই ২০১০ থেকে জুন ২০২২ সালে প্রকল্পটির কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। তবে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত করার প্রস্তাব একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। মঙ্গলবারের একনেক সভায় চতুর্থ সংশোধনী অনুমোদন পেলে জুন ২০২৩ সালে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদ শেষ হবে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন করা, আয়বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে উপকারভোগীদের দারিদ্র্য বিমোচন এবং ঋণ প্রদান ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলা হবে। চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) এডিপিতে এ প্রকল্পটির জন্য ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার ১৪৯টি পাকা ব্যারাক, চরাঞ্চলে ৫ হাজার ৭৮টি সিআইসিট ব্যারাক, ৪ হাজার ৩৯৩টি সেমিপাকা ব্যারাক নির্মাণ ও ৬০টি বহুতল ভবন নির্মাণ হবে। ১ হাজার ১২০টি কমিউনিটি সেন্টার, ৫৮০টি বিশেষ ডিজাইনের ঘর, ৫৬৫টি ঘাটলা, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, বক্স কালভার্ট, পাকা ড্রেন ও স্লপ প্রোটেকশন নির্মাণ করা হবে। সব প্রকল্প গ্রামে অগভীর-গভীর নলকূপ ও অভ্যন্তরীণ রাস্তাও থাকবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পটি ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আবাসন সুবিধা নিশ্চিতকরণ এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে পিছিয়েপড়া গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে বিবেচনায় এটি ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।