সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৪:০০ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক : ক্যামেরুনের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখায় মিশর। কিন্তু কোনভাবেই প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে পারেনি দলটি। যে কারণে ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেও ছড়িয়েছিল রোমাঞ্চ। তবে শেষ কিছুই ইতি টানের মিশরের গোলরক্ষক মোহাম্মদ আবু গাবালের দারুণ দক্ষতায়। শেষ পর্যন্ত তাই ৩-১ ব্যবধানে জিতে আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনালে জায়গা করে নেয় মোহাম্মদ সালাহর মিশর।
নেশন্স কাপের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে বৃহস্পতিবার নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটও গোলশূন্য থাকে। তাই ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে আবু গাবালের দারুণ নৈপুণ্যে ৩-১ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে পা রাখে রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়নরা। এরআগেই প্রথম দল হিসেবে এ টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠে সেনেগাল। তার মানে শিরোপা নির্ধারনী লড়াইয়ে দেখা হবে সালাহ ও সাদিও মানের।
বৃহস্পতিার টাইব্রেকারে প্রথম শটটিই শুধু ঠেকাতে পারেনি মিশর গোলরক্ষক আবু গাবাল। ভিনসেন্ট আবুবাকারের শটে ডাইভ দেন উল্টো পাশে। কিন্তু ঠিক দিকেই ঝাঁপিয়ে হ্যারল্ড মুকুদি ও জেমস লিয়া সিলিকির শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। ক্ষীণ আশাটুকু বাঁচিয়ে রাখার কাজটা করতে পারেননি ক্লিন্টন এন’জিয়ি। আকাশে উড়িয়ে মারা তার শটের সঙ্গে ক্যামেরুনের ফাইনালের স্বপ্নও ভেস্তে যায়। মিশরের তিন ফুটবলার জিজু, মোহামেদ আব্দেলমোনেম ও মোহামেদ লাশিন খুঁজে পান জালের দেখা। চলতি আসরে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার টাইব্রেকারে জিতল মিশর। শেষ ষোলোর ম্যাচে কোত দি ভোয়াকে ৫-৪ গোলে হারায় তারা। পরে কোয়ার্টার-ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে হারায় মরক্কোকে।
টাইব্রেকারে হারলেও ঘরের মাঠে বৃহস্পতিবার ১২০ মিনিট সমানে-সমান লড়াই করে ক্যামেরুন। প্রথমার্ধে বল দখল, গোলে শট ও সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে একটু এগিয়ে ছিল তারাই। মিশরের দুটি শটের একটিও ছিল না লক্ষ্যে।