1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

শেষ ওভারে বাবুর তিন ছক্কাও জেতাতে পারেনি সিলেটকে

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ২৬৫ বার পঠিত

ক্রীড়া ডেস্ক :: ঘরের মাঠে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই নাটকীয়তার জন্ম দিল সিলেট সানরাইজার্স। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত একাদশে থাকলেও টস করতে নামলেন ইংল্যান্ডের রবি বোপারা। পরে জানানো হলো, অধিনায়ক দায়িত্ব সামলাবেন এই অলরাউন্ডার। নেতৃত্ব কাঁধে নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিলেন বোপারা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও বল টেম্পারিং করলেন তিনি। ধরা পড়ায় ৫ রানর পেনাল্টি গুণতে হলো সিলেটকে।

এমন নাটকীয় ম্যাচে মাঠের লড়াইয়েও খানিক নাটক জমলো। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৩৬ রান প্রয়োজন হলে কামরুল ইসলাম রাব্বিকে টানা ৩টি ছয় মারেন আলাউদ্দিন বাবু। যদিও শেষরক্ষা হয়নি সিলেটের। আগে ব্যাট করে সৌম্য সরকার আর মুশফিকুর রহিমের ঝড়ো ফিফটিতে স্কোরবোর্ডে ১৮২ রানের বিশাল পুঁজি পায় খুলনা টাইগার্স। এই লক্ষ্য টপকাতে নেমে পরে ১৬৭ রানে থামে সিলেটের ইনিংস। এতে ১৫ রানের জয় পায় খুলনা।

এই জয়ের ফলে ৭ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট খুলনার। অন্যদিনে সমান ৭ ম্যাচে সিলেটের অর্জন মাত্র ৩ পয়েন্ট।

যদিও ১৮৩ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছিল সিলেট। উদ্বোধনী জুটিতে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৪১ রান যোগ করেন এনামুল হক বিজয় ও লেন্ডন সিমন্স। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে সিমন্স ১৭ বলে ১০ রান করে আউট হলে ভাঙে এই পার্টনারশিপ। এরপর ফিফটির পথে ছুঁটতে থাকেন বিজয়। তবে ৩ রানে আক্ষেপে ৩৩ বলে ৪৭ রানে থামতে হয় তাকে। যেখানে সমান ৩টি করে চার-ছক্কা আসে বিজয়ের ব্যাট থেকে।

এরপর ১৩ রানের মধ্যে আরো দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে তারা। মোহাম্মদ মিঠুন ৮ বলে ২ আর রবি বোপারা সাজঘরে ফেরেন শূন্য রানে। ৭৩ রান ৪ উইকেট হারানো দলটির হাল ধরেন কলিং ইনগ্রাম ও মোসাদ্দেক। তবে চাহিদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেননি তারা। শেষদিকে হাত খুলে খেলতে গিয়ে খালেদ আহমেদের বলে আউট হন ইনগ্রাম। ২টি ছয়ের সাহায্যে ২৮ বলে ৩৭ রানে থামেন তিনি। এতে পঞ্চম উইকেটে ভাঙে ৫৮ রানের পার্টনারশিপ।

মোসাদ্দেকের ২২ বলে ৩৯ এবং আলাউদ্দিন বাবুর ৭ বলে ২৫ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রানে থামে সিলেটের ইনিংস। এতে ১৫ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে খুলনা। ব্যাটিংয়ে অনবদ্য ৮২ রানে ইনিংস খেলার পর বল হাতেও ২ উইকেট নেন সৌম্য সরকার।

এর আগে টস জিতে খুলনা টাইগার্সকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান সিলেটের নতুন অধিনায়ক রবি বোপারা। প্রথম ওভারে দুটি উইকেটের পতন ঘটিয়ে সিলেট পায় স্বপ্নের মতো শুরু। ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার রান আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন ১ রান করে। আরেক ওপেনার শেখ মেহেদী হাসান রানের খাতা খুলতে পারেননি। সোহাগ গাজীর বলে আউট হন অলক কাপালির হাতে ক্যাচ দিয়ে।

ইনিংসে প্রথম ওভারেই ২ ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে খুলনা। পরে সৌম্য সরকার আর ইয়াসির আলীর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। ১৮ বলে ২৩ রান করে ইয়াসির বিদায় নিলে ভাঙে ৪৫ রানের জুটি। এরপর সৌম্যর সাথে দলের হাল ধরেন মুশফিক। নবম ওভারে বল টেম্পারিংয়ের কারণে ৫ রান জরিমানা গুণে সিলেট। তাতে যেন মোমেন্টামও হারিয়ে ফেলে দলটি। খুলনার আর কোনো উইকেটের পতন ঘটাতে পারেনি স্বাগতিক বোলাররা।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৮৪ বলে ১৩৬ রান যোগ করেন দুজন। মাঝে দুজনেই তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। সৌম্য ৬২ বলে ৪টি করে চার-ছক্কায় ৮২ এবং মুশফিক ৩৮ বলের মোকাবেলায় ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সহায়তায় ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮২ রান। টুর্নামেন্টজুড়ে উজ্জ্বল থাকলেও আজ বল হাতে পাননি নাজমুল ইসলাম অপু। দলের পক্ষে সোহাগ গাজী ও অভিষিক্ত একেএস স্বাধীন একটি করে উইকেট শিকার করেন।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..