1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

মাদক প্রবেশ রোধে সীমান্তে বসবে অত্যাধুনিক সেন্সর : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৫২১ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : দেশে সীমান্ত এলাকা দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে ভয়ংকর মাদক ক্রিস্টাল মেথ বা আইস ও ইয়াবা আসছে। এসব মাদকের প্রবেশ রোধে সীমান্তে অত্যাধুনিক সেন্সর ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আজ মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সদর দফতরে ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল বক্তব্য ও অনুষ্ঠান শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সরকার সব প্রকার চোরাচালান প্রতিরোধের চেষ্টা করছে, কিন্তু চোরাচালান বন্ধ হচ্ছে না, বিশেষ করে মাদক। এর সুষ্ঠু সমাধানের জন্য কী ধরনের উদ্যোগ রয়েছে— জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মাদক তৈরি করে না। কিন্তু এর ভয়াল থাবা রয়েছে বাংলাদেশে। সেটা থেকে তরুণ যুব সমাজকে রক্ষায় সর্বশক্তি নিয়োগ করছি। পার্শ্ববর্তী দেশ মাদক তৈরি করছে। তাদের সঙ্গে মন্ত্রী-বাহিনী পর্যায়ে আলোচনা চলছে।

তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবি টহল ড্রাইভ শেষে যখন ফিরে আসে তখন অহরহ ইয়াবা আসছে। এর কারণ পার্শ্ববর্তী দেশ মাদকের ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

রাষ্ট্রীয়ভাবে পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে মাদকের ব্যাপারে উৎসাহ বন্ধে মন্ত্রী ও বাহিনী পর্যায়ে আলোচনা চলছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে পার্শ্ববর্তী দেশের মাদকের ব্যাপারে উৎসাহ বন্ধে মন্ত্রী ও বাহিনী পর্যায়ে আলোচনা করছি। বর্ডারে সেন্সর বসিয়েছি, আরও বোট, নজরদারি বাড়াচ্ছি। মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি আমাদের।

কোস্ট গার্ডে জনবল নিয়োগ-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কোস্ট গার্ডের জনবল সংকট ছিল। কোস্টগার্ডে বরাবর বাংলাদেশ নেভি থেকে জনবল প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়। সে জন্য একটু সংকট আছে। তবে ইতালি থেকে জাহাজ এনেছি, আরও আসবে। জনবল নিয়োগ সংক্রান্ত আইনের সংশোধন করা হচ্ছে। নিজস্ব বাহিনী যেমন বিজিবি, কোস্টগার্ডও যেন তেমনিভাবে জনবল নিয়োগ দিতে পারে। এ জন্য পটুয়াখালীতে ট্রেনিং একাডেমি গড়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে বেসরকারি বিল এনেছিলেন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। সেটি পাশ হয়। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠান, বাহিনীতে পরিণত হয়েছে কোস্ট গার্ড। যখন যা প্রয়োজন ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন, স্লোগান ‘গার্ডিয়ান অ্যাট সি’ সফল হতে যাচ্ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯টি জেলা উপকূলীয়, ৪৭ হাজার কিলোমিটার কোস্টাল এরিয়ার রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপত্তা একটা দুরূহ কাজ। কোস্টগার্ড তৈরির আগে, প্রধানমন্ত্রীর আগে এগুলো ছিল অরক্ষিত। এখন মৎস্য-বনজ সম্পদ রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান মাদক ও বিশেষ করে ইলিশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে কোস্ট গার্ড।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, শুধু কোস্টাল এরিয়া নয়, মানবপাচার, মাদকের লেনদেন নিয়ন্ত্রণে কোস্টাল এরিয়ায় সর্বদা সতর্ক রয়েছে কোস্ট গার্ড। আগে প্রায়শই পার্শ্ববর্তী দেশের মৎস্য শিকারিরা আসতেন, আমাদের সমুদ্রসীমায় মাছ ধরতেন। সে চিত্র পাল্টে গেছে। সমুদ্রসীমার অতন্দ্র প্রহরী এখন কোস্ট গার্ড। কোস্টগার্ডকে প্রধানমন্ত্রী আরও শক্তিশালী স্বয়ংসম্পূর্ণ, আরও যুগোপযোগী, নির্ভরযোগ্য বাহিনীতে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কাজ চলছে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..