1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

সিলেটে সক্রিয় ছদ্মবেশী ‘স্বর্ণ প্রতারক’ চক্র

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ২০৭ বার পঠিত

সিলেট প্রতিনিধি : সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে শহরে ঘুরে বেড়ায় তারা। সহযাত্রী হিসেবে নারীদের পেলে টার্গেট করে। এরপর আলাপ জমিয়ে কখনো ২২ ক্যারেটের স্বর্ণবার, আবার কখনো স্বর্ণালঙ্কার বিক্রির নামে হাতিয়ে নেয় টাকা। এরপর বাসায় ফিরে যখন ভুক্তভোগীরা প্রতারণার বিষয়টি টের পান তখন আর করার কিছুই থাকে না। লজ্জায় কেউ আইনের আশ্রয়ও নেন না। তবে মাঝে মধ্যে এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা ধরা পড়ে যান ভ‚ক্তভোগীদের হাতে। তখন বের হয়ে আসে প্রতারণার বিষয়টি। সম্প্রতি এরকম প্রতারক চক্রের সন্ধান পেয়েছে সিলেট মহানগর পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের হরিমোহন রায়ের স্ত্রী জয়ন্তী রানী রায় ও তার মেয়ে পপি রানী রায় কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড থেকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে সিলেট নগরীর মির্জাজাঙ্গালস্থ তাদের বাসায় ফিরছিলেন। ওই সময় অটোরিকশাটিতে চালক ও যাত্রীবেশি প্রতারকরা বসা ছিল। রাস্তায় প্রতারক চক্রের সদস্য সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের সমছুননূরের ছেলে মুরাদ আহমদ জয়ন্তী রানীর সাথে গল্প শুরু করে। একপর্যায়ে মুরাদ জানায় তার কাছে ২২ ক্যারেটের একটি স্বর্ণবার আছে, কিন্তু বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সে এটি বিক্রি করতে পারছে না। কথাবার্তার ফাঁকে সে জয়ন্তীকে তার ও মেয়ের পরণে থাকা স্বর্ণালঙ্কার দিয়ে দিলে সে স্বর্ণবারটি দেয়ার প্রলোভন দেখায়। জয়ন্তী লোভে পড়ে তার লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালঙ্কার দিয়ে স্বর্ণবারটি নেন। বাসায় আসার পর টের পান প্রতারণার বিষয়টি। কিন্তু প্রতারক চক্রের ভাগ্য মন্দ ছিল। গত ১৯ ফেব্রয়ারি নগরীর বাগবাড়ি বর্ণমালা পয়েন্টে সিএনজি অটোরিকশায় প্রতারক মুরাদকে দেখতে পান। তখন ‘৯৯৯’-এ ফোন দিয়ে অটোরিকশাটি ধাওয়া করেন। তালতলায় আসার পর পুলিশ অটোরিকশাটির গতিরোধ করে মুরাদকে আটক করে। এসময় তার আরও তিন সহযোগী পালিয়ে যায়। মুরাদের কাছ থেকে একটি নকল স্বর্ণবার উদ্ধার করে। যেটির উপর ইংরেজিতে ‘২২ কে’ লিখা ছিল।

সিলেট মহানগর পুলিশ জানায়, অনুসন্ধানে ওই চক্রের আরও তিন সদস্যের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- সিলেট নগরীর মজুমদারীর আরজু মিয়ার ছেলে নয়ন, হাউজিং এস্টেটের রবিউল ওরফে লেম্বু ও সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বাদশাগঞ্জের নূর মিয়া।

এদিকে, প্রায় তিন মাস আগে সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকার রুবিনা বেগম নামের এক গৃহবধূর কাছে স্বর্ণের তৈরি দাবি করে একটি মূর্তি বিক্রি করে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার চকতিলক সাহারপাড়ার বাসিন্দা ইদ্রিস মিয়া। পরে রুবিনা বেগম মূর্তিটি জুয়েলার্সে নিয়ে পরীক্ষা করালে দেখতে পান স্বর্ণের কালারের মূর্তিটি আসলে পিতলের তৈরি। এরপর রুবিনা নানাভাবে ইদ্রিসের সাথে দেখা করার চেষ্টা করলেও তাকে সে আসেনি। পরে আরেক ব্যক্তিকে ক্রেতা সাজিয়ে যোগাযোগ করান ইদ্রিসের সাথে। গত ১০ জানুয়ারি পাঠানটুলার আরেকটি বাসায় নকল স্বর্ণমূর্তি নিয়ে আসে ইদ্রিস। এসময় তাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।

এদিকে, অপর একটি চক্রের সদস্যরা রিকশাচালক সেজে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে মানুষের সাথে। ওই চক্রের সদস্যরা রিকশায় যাত্রী ওঠার পর তাদেরকে বলে সে কুড়িয়ে স্বর্ণের মতো কিছু একটা পেয়েছে। তখন সে স্বর্ণবার বা স্বর্ণালঙ্কার বের করে দেখায় যাত্রীকে। স্বর্ণের মতো হুবহু স্বর্ণবার বা স্বর্ণালঙ্কার দেখে যাত্রীও সায় দেন এটা আসল স্বর্ণ বলে। তখন সে ওই যাত্রীর কাছে নকল স্বর্ণটি বিক্রি করে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এরকম প্রতারণার ঘটনা সিলেট নগরীতে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে বলে জানা গেছে।

স্বর্ণ প্রতারকদের ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, যখনই পুলিশ এরকম কোন প্রতারক চক্রের খবর পাচ্ছে তখনই অভিযান চালিয়ে আটক করছে। বিভিন্ন ঘটনার পর আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে ওই চক্রের যেসব সদস্যের নাম পাওয়া গেছে তাদেরকে গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে মানুষ সচেতন না হলে প্রতারণা নির্মূল করা যাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..